২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নয়া পল্টন ও সুপ্রিমকোর্টে ব্যারিস্টার আমিনুল হকের জানাজা ‍অনুষ্ঠিত

-

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হকের সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে ও নয়া পল্টনে বিএনপির অফিসের সামনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার বেলা দুইটার দিকে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সামনের চত্বরে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় অংশ গ্রহণ করেছেন প্রধান বিচারপতি মো সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ অংশগ্রহণ করেন।

এ ছাড়াও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ, আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আব্দুল মতিন খসরু, শফিক আহমেদ, অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক অ্যার্টনি জেনারেল এএফ হাসান আরিফ, এজে মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল বাসেত মজুমদার ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন, সম্পাদক এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার এম. আমির -উল -ইসলাম, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনসহ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।

এর আগে রোববার সকালে ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন।

রোববার সকাল ১০টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান মরহুমের ভাতিজা ব্যারিস্টার অনিক আর হক।

তিনি রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আগ পর্যন্ত এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন।

আমিনুল হক ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন।

মৃত্যুকালে আমিনুল হক এক ছেলে ও এক মেয়েসহ আত্মীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার এক ছেলে বিদেশ থেকে ফিরলে গ্রামের বাড়ীতে দাফন সম্পন্ন করার হবে।

জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি মো. সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জানাজার পর ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী নিহত হওয়াই আইনঙ্গন থেকে হারিয়েছে একজন দক্ষ আইনজীবী এবং জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি হারিয়েছে একজন গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিত্ব।

জাতীয় আইনজীবী সমিতির শোকঃ এদিকে ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মোঃ খসরুজ্জামান। আজ এক বিবৃতে তিনি নিহতের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।


আরো সংবাদ



premium cement