২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কর্ণফুলী টানেলের বোরিং কাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সুড়ঙ্গ পথ
আজ রোববার সকালে পতেঙ্গায় নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে টানেলের বোরিং কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী । - ছবি : বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (সুড়ঙ্গ পথের) নির্মাণের বোরিং (খনন) কাজের উদ্বোধন করেছেন।

আজ রোববার সকালে পতেঙ্গায় নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে টানেলের বোরিং কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী । আর এর মাধ্যমে দেশের যোগাযোগ ক্ষেত্রে আরেকটি দিগন্ত উন্মোচিত হলো।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ৩ দশমিক ৫ কি.মি. এই টানেলটি বাংলাদেশসহ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এটাই প্রথম। চার লেন বিশিষ্ট এই টানেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। চীনের পূর্ব এবং পশ্চিম সাংহাইকে সংযুক্তকারী টানেলের আদলে এটি চট্টলার দুটি প্রান্তকে যুক্ত করবে।

প্রস্তাবিত এই টানেলের মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৯ হাজার ০৯২ কি.মি.। যার ৩ দশমিক ৪০ কি.মি. থাকবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এবং এর অ্যাপ্রোচ রোড হবে ৪ দশমিক ৮৯ কি.মি.। যার সাথে ৭৪০ মিটার ব্রিজ চট্টগ্রাম শহরকে কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাশের সাথে সংযুক্ত করবে।

এই টানেলটি কর্ণফুলীর এক পাশে থাকবে নেভী কলেজ এবং অপরপ্রান্তে কোরিয়ার রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা (কেইপিজেড) এবং কর্ণফুলী সার কোম্পানি (কাফকো)।

এটি চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনবে, এছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাধ্যমে চট্টগ্রামে প্রবেশমুখের যানবাহনের চাপ কমাবে।

এই একাধিক লেন সমৃদ্ধ টানেলটি চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করবে এবং চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের মধ্যে যাতায়াতকে সহজতর করবে। পাশাপাশি কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত দুটি সেতুরও যানজট নিরসন করবে।

সূত্র জানায়, চীনের নির্মাণ কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে (সিসিসিসি) এই টানেলটি নির্মাণের কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হয়েছে।

২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সফররত চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একত্রে এই টানেল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী এদিন বন্দর নগরীতে লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৭ কি.মি. দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স বেনকিং জেবিকে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement