২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

তিন চোখওয়ালা অজগর

তিন চোখওয়ালা অজগর - সংগৃহীত

উত্তর অস্ট্রেলিয়ায় একটি মহাসড়কের ওপর তিনটি চোখওয়ালা একটি সাপ পাওয়া গেছে। সেখানকার বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা অনলাইনে ছবিটি শেয়ার করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বাচ্চা অজগর সাপটির মাথায় তিনটি চোখ ছিল এবং প্রাকৃতিকভাবেই কোষ বিভাজনের মাধ্যমে তৃতীয় চোখটি সৃষ্টি হয়েছে। ডারউইন শহরের ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে হাম্পটি ডু শহরের কাছে ১৫ ইঞ্চি লম্বা সাপটিকে দেখতে পান বন কর্মীরা। মাথায় তিনটি চোখ থাকার কারণে সাপটির কোনো কিছু খেতে অসুবিধা হচ্ছিল। নর্দার্ন টেরিটরি পার্কস অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ সার্ভিস এই ‘আবিষ্কার'কে অনলাইনে অদ্ভুত বলে বর্ণনা করে। মার্চ মাসে সাপটি পাওয়া যাওয়ার পর হলিউডের সিনেমার জনপ্রিয় চরিত্রের নামে এর নাম দেয়া হয়েছিল ‘মন্টি পাইথন’ এবং কয়েক সপ্তাহ পরই এটি মারা যায়।

বন্যপ্রাণী বিভাগ বলছে, সাপটির মাথার এক্স-রে করে দেখা গেছে যে, সাপটির মাথার খুলি একটিই, এমন নয় যে ঘটনাক্রমে দু’টি মাথা এক হয়ে গেছে। তার মাথার খুলিতে তিনটি চোখের সকেট বা গর্ত ছিল এবং তিনটি চোখই কাজ করছিল।

কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ব্রায়ান ফ্রাই বলেন, ‘মিউটেশন বা কোষকলার বৃদ্ধি বিবর্তনের একটা স্বাভাবিক অংশ। প্রতিটি শিশুর দেহেই কোনো-না-কোনো রকমের মিউটেশন হয়, এই সাপটির ক্ষেত্রে তা অস্বাভাবিক আকার নিয়েছে মাত্র।’

অধ্যাপক ফ্রাই বলেন, ‘আমি এর আগে তিনটি চোখওয়ালা সাপ দেখিনি, তবে আমাদের ল্যাবরেটরিতে দুই মাথাওয়ালা একটি কোবরা পাইথন সাপ আছে।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের মধ্যে যেমন জোড়ালাগা শিশুর জন্ম হয়, ঠিক তেমনি সাপের মধ্যেও ভিন্ন ধরনের মিউটেশন হতে পারে। অধ্যাপক ফ্রাই বলেন, সাপটির তৃতীয় চোখটি হয়তো একটি যমজ সাপের অবশিষ্টাংশ, যা এর দেহের সাথে মিশে গেছে।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement