২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গ্রিসের সাথে শিক্ষা-সংস্কৃতি সহযোগিতা চুক্তি হচ্ছে

-

বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে শিক্ষা ও সংস্কৃতি সহযোগিতা চুক্তি হতে যাচ্ছে। সোমবার বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সহযোগিতা চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।


তিনি বলেন, ‘বিশ্ব-সংস্কৃতির সাথে বাঙালি সংস্কৃতির মেলবন্ধন জোরদার করার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক চুক্তি সম্পাদন ও এর আওতায় সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ প্রক্রিয়ায় ইতোমধ্যে মোট ৪৪টি দেশের সাথে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।’


চুক্তির মূল লক্ষ্য ও বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরে খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক কৃষ্টি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণ, দুই দেশের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এবং বিশেষজ্ঞ বিনিময়ের মাধ্যমে শৈল্পিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে উভয় দেশের জনগণের জ্ঞান ও সচেতনতা অর্জন; সভা, সেমিনার ও প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে উভয় দেশের কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টি; চারুকলা, শিল্পকলা, শিল্প সংস্কৃতি ও সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উভয় দেশের সংস্কৃতি সমৃদ্ধকরণ; প্রকাশনা, গবেষণা ও তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ; সামগ্রিকভাবে সংস্কৃতি, শিল্পকলা এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষার সুযোগ সৃষ্টি।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য গ্রিস সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো খসড়ার ওপর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি নেয়া হয়। এরপর সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২০১২ সালের ১৩ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্রিস সরকারের কাছে খসড়া চুক্তিটি পাঠানো হয়। গ্রিস সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর খসড়ায় কতিপয় অনুচ্ছেদে কিছু শব্দ ও বাক্য সংযোজন করা হয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকার ও গ্রিস সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিতব্য সাংস্কৃতিক বিনিময় চুক্তির চূড়ান্ত খসড়া প্রণয়ন করা হয়।

চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ ও গ্রিস সরকারের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘পূর্বের চুক্তির ধারাবাহিকতায় এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হলে উভয় দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত হবে। কোনও পক্ষ চুক্তি বাতিল করতে চাইলে চুক্তি বাতিলের তারিখের ৬ মাস পূর্বে লিখিতভাবে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করতে হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement