২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাওলানা আবদুস সুবহানের ইন্তেকাল

মাওলানা আবদুস সুবহান আর নেই - ছবি : সংগৃহীত

জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির ও পাবনা-৫ আসনের সাবেক পাঁচবারের সংসদ সদস্য মাওলানা আবদুস সুবহান আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরহুমের পরিবার থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। 

মাওলানা আবদুস সুবহানের আত্মীয় গোলাম হাদী সাঈদী জানান, আবদুস সুবহান কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মাওলানা সুবহান প্রায় সাত বছর ধরে কারান্তরীণ ছিলেন।

জামায়াতের কর্মপরিষদের সদস্য এহসানুল মাহবুব যোবায়ের জানান, আবদুস সুবহান কাশিমপুর কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। গত বছরের ২২ জুলাই কারাগারের বাথরুমে পড়ে আহত হন তিনি। এরপর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

জানা গেছে, গত ২৪ জানুয়ারি আবদুস সুবহানকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। শুক্রবার দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান।

লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে জানিয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রয়েছে।

হাসপাতাল ও কারাগারের আনুষ্ঠানিকতা শেষে জামায়াত নেতা আবদুস সুবহানের লাশ পাবনা নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানেই তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানান এহসানুল মাহবুব যোবায়ের।

আবদুস সুবহান জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতা ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করায় সংগঠনে তার প্রভাব ছিল উল্লেখ করার মতো। তিনি দলীয় টিকিটে পাবনা-৫ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সবশেষ ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের মনোনয়ন নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন।

জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান পাকিস্তান আমলে ছিলেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য। তিনি পাবনা আলিয়া মাদরাসার সাবেক হেড মাওলানা ছিলেন।

২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের এই প্রভাবশালী নেতাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে প্রাণদণ্ড দেয় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

প্রসিকিউশনের আনা ৯টি অভিযোগের মধ্যে ছয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

রায়ের দিন সুবহানকে নির্দোষ দাবি করে তার ছেলে নেছার আহমদ নান্নু বলেছিলেন– রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে।

মাওলানা সুবহানের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সুজানগর থানার মানিকহাটি ইউনিয়নের তৈলকুণ্ডি গ্রামে। তার বাবার নাম শেখ নাঈমুদ্দিন, মায়ের নাম নুরানী বেগম।


আরো সংবাদ



premium cement
সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে অটোরিকশার ধাক্কায় হতাহত ৫ চৌগাছায় সিদ কেটে স্বর্ণের দোকানে চুরি দুর্নীতির মামলায় কৃষিমন্ত্রীকে আটক করল ইউক্রেন মোরেলগঞ্জে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

সকল