২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অনমনীয় ঋণে রেলের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ যাত্রীবাহী কোচ

ব্যয় হবে ৯২৮ কোটি টাকা
-

অনমনীয় ঋণ বা সাপ্লাইয়ার্স ক্রেডিটের মাধ্যমে চীন থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০টি মিটারগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ করছে সরকার। প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় হবে ৯২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর ফলে রেলওয়ে বিভাগের যাত্রী সেবার মান বাড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
গতকাল সোমবার বিকেলে শেরেবাংলানগরস্থ অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনমনীয় ঋণসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান। বৈঠকে কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য ক্রেডিট এগ্রিকোল করপোরেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার একটি প্রস্তাব অনমনীয় ঋণসংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে মিটারগেজ যাত্রীবাহী কোচের চাহিদা পূরণের জন্য প্রকল্পটি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নীতিগত অনুমোদন রয়েছে। ওপেন টেন্ডার করেসিফান কোম্পানি লিমিটেডকে গ্রহণযোগ্য দর দাতা হিসেবে এবং সাংহাইপুডং ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি অনেক দিন আগের। এখন এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ জন্য মোট ব্যয় হবে প্রায় ৯২৭ কোটি ৫১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাবে ৭৩১ কোটি ৫১ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং সরকার দেবে ২১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
এক প্রশের জবাবে তিনি বলেন, রেলওয়ের যাত্রীবাহী কোচগুলো অনেক পুরনো হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি অবগত আছেন এবং তার নির্দেশনায় নতুন কোচ সংযোজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেহেতু এই জাতীয় কোচ আগে আমরা ব্যবহার করিনি। তাই চীনের যে কোম্পানিটি এসব কোচ সরবরাহ করবে তাদের উৎপাদিত কোচগুলো সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। তারা কোনো কোনো দেশে এসব কোচ সরবরাহ করেছে এবং এসব কোচের গুণগতমান কেমন তা যাচাই করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তারা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে গিয়ে এসব দেখবেন।
ঋণের সুদের হার সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণ মানেই তো সুদ দিতে হবে। আগে তো লাইবরের ভিত্তিতে ঋণের সুদ নির্ধারণ হতো। এখন ইউরিবরের ভিত্তিতে ঋণ নেয়া হচ্ছে। এ ভিত্তিতে ঋণের সুদের হার ২ শতাংশের বেশি হবে না। এ ঋণে কোনো কঠিন শর্ত নেই। জাপান থেকে আমরা যে ঋণ নিই তা নমনীয় ঋণ সুদের হার খুবই নগণ্য। তবে অন্যান্য ঋণ সাধারণত লাইবরের ওপর ২ শতাংশ সুদ দিতে হয়। এখানে আমরা ইউরোর মাধ্যম ঋণের অর্থ নেবো এবং পরিশোধ করব।
বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প দলিলে দেখা যায়, রেলপথ মন্ত্রণালয় ২০০ মিটারগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পটি গ্রহণ করার পর ২০১১ সালের ২০ জুলাই অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক থেকে অনুমোদন নেয়। ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল অগ্রিম ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদন লাভ করে। এরপর ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রকল্পের ডিপিপি ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর একনেক বৈঠকে অনুমোদিত হয়। ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বর ঋণ নেগোশিয়েশন ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ডিপিপি ও ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের পর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক অনুমোদন করা হয়। ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর প্রকল্পটির বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করা হয়। বিদেশী ঋণের পরিমাণ ৮৪ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ইউরো। প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল