২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা

কয়েক মাস ধরেই সেতুটিতে স্লিপারের নাট-ক্লিপ ছিল না

-

চার মাস ধরে কুলাউড়ার বরমচালের দুর্ঘটনাকবলিত এই সেতু দিয়ে যখন ট্রেন চলত তখনই লক্কড়ঝক্কড় করত। স্লিপারের কোথাও নাট নেই আবার কোথাও ক্লিপ নেই। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানিয়েছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অনেক সময় রেলকর্মীরা মেইন্টেন্যান্স করতেন না।
সরেজমিন জানা যায়, ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট থেকে ছেড়ে আসার পরই অতিরিক্ত গতি বাড়ানো হয়। কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনে ঢোকার পরপর চালক আরো গতি বাড়িয়ে দেন। স্থানীয়রা বলছেন, পূর্ব থেকেই ঘটনাস্থলে কয়েকটি স্লিপারে ক্লিপ ছিল না। যার কারণে ট্রেনটি বেশি স্পিডে থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্লিপারে ক্লিপ বসানোর জন্য স্থানীয়রা একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে বললেও তারা কর্ণপাত করেনি। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সৌদি আরব প্রবাসী ও কুলাউড়ার সাবেক সংবাদকর্মী লুৎফুর রহমান রাজু চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার আহ্বান করেন। এর পরেও কোনো গুরুত্ব দেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। তবে বরমচাল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার রুমান আহমদের বক্তব্য হলোÑ নিয়মিত চেকআপ করা হয় রেললাইন। এবং ক্লিপ ও নাট যেখানে সঙ্কট পড়ে সেখানে লাগানো হয়। তবে পুরো লাইনেই কিছু ক্লিপ ও নাট সঙ্কট তো রয়েছেই।
এলাকার সুহেল রানা বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমসহ সবাইকে জানানোর চেষ্টা করেছি। সবাই বিষয়টি রেলস্টেশনে জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরাও একই অভিযোগ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেনÑ যখন ট্রেন আসত তখন এই জায়গাটা কম গতি দিয়ে অতিক্রম করত। কিন্তু দুর্ঘটনার রাতে খুব স্পিডে ট্রেনটি আসছিল। তারপরই ধসে পড়ে। খুবই বিকট আওয়াজ হয়।
সিলেট থেকে কুলাউড়াগামী যাত্রী ফয়ছল আলী (২৫) জানান, বিকট শব্দে প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে অনেক যাত্রী ভয় পান। তিনি বলেন, প্রথমে তারা বুঝতে পারেননি। অনেক সময় আটকে থাকার পর রেল থেকে নেমে দেখতে পান পেছনের দিকে ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে গেছে। তখন অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসও আসে। তারা তখন বুঝতে পারেন বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেল লাইনের নিকটস্থ বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক মিয়া জানান, শব্দ পেয়ে আমরা এলাকাবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করি। 


আরো সংবাদ



premium cement