২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশে জ্বালানি সঙ্কটের পরও ভারতে রফতানি হচ্ছে তরল গ্যাস

-

বাংলাদেশ এই প্রথমবারের মতো তাদের প্রাকৃতিক গ্যাস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রফতানি করবে বলে শনিবার দিল্লিতে দুই দেশের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের তৃতীয় দিনে শনিবার আরো জানানো হয়েছে, ফেনী নদীর পানি নিয়ে ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জলও সরবরাহ করা হবে। তবে যে ইস্যুগুলোতে বাংলাদেশে অনেকেরই নজর ছিল- যেমন তিস্তা নদীর জল ভাগাভাগি কিংবা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রশ্নে ভারতের অধিকতর সমর্থন আদায়, সেগুলোতে বিশেষ অগ্রগতির লক্ষণ চোখে পড়েনি।
দুই দেশের যৌথ বিবৃতিতে ভারতের বিতর্কিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসির প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়নি। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই শীর্ষ পর্যায়ে যেকোনো ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকে কৌতূহলের কেন্দ্রে থাকছে তিস্তা চুক্তি বা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মতো বিষয়।
শনিবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রধানমন্ত্রী হাসিনার বৈঠকে সে সব ইস্যুতে কোনো নাটকীয় মোড় আসেনি। তবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাংলাদেশ ভারতে তাদের প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি করতে সম্মত হয়েছে। এলপিজি রফতানি জন্য একটি প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেছেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এই প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে বুলেট ট্রাকে চাপিয়ে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস নিয়ে আসা হবে ত্রিপুরার বিশালগড় বটলিং প্ল্যান্টে, তারপর তা সরবরাহ করা হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন স্থানে। তাতে এলপিজি সিলিন্ডার অনেক কম পরিবহন-খরচে আর কম সময়ে পৌঁছে দেয়া যাবে ওই সব দুর্গম এলাকায়।
ভারতে গ্যাস রফতানি কতটা সমীচীন হবে, তা নিয়ে বাংলাদেশে বিতর্ক দীর্ঘ দিনের। কিন্তু শনিবার দেখা গেল শেখ হাসিনা সরকার সেই দ্বিধা কাটিয়ে উঠেছে। এই পদক্ষেপ দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেও সাহায্য করবে বলেও বলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা নিজেও দিল্লিতে তার বক্তৃতায় এই বিষয়টিতেই জোর দিয়েছেন।
জলের মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতেও বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ত্রিপুরার সাবরুম শহরে পানীয় জল জোগাতে ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক জল সরবরাহে তারা রাজি হয়েছে।
ফেনীসহ সাতটি অভিন্ন নদীর পানি ভাগাভাগির জন্য একটি কাঠামো প্রস্তুত করতেও যৌথ নদী কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন দুই নেতা। যদিও এই সাতটির মধ্যে তিস্তা নেই। তবে দু’দেশের কর্মকর্তারা বলছেন, এই কাঠামোই আগামী দিনে সম্ভাব্য তিস্তা চুক্তির ভিত গড়ে দিতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সাথে আজকের এই এলপিজি-আমদানিসহ এই নিয়ে গত এক বছরে আমি অন্তত ডজনখানেক প্রকল্পের উদ্বোধন করলাম।" যার সবগুলোরই লক্ষ্য এক। আমাদের নাগরিকদের জীবনের মানে উন্নতি ঘটানো। আর এটাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মূলমন্ত্র।
যে সাতটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি দিল্লিতে স্বাক্ষরিত হয়েছে তার মধ্যে প্রথমটিই ছিল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা পদ্ধতি ঠিক কী হবে, তা নিয়ে।
চট্টগগ্রম ও মংলা বন্দর ভারত কীভাবে ব্যবহার করবে, তা নির্ধারিত হলেও বাংলাদেশের জন্য ব্যবহারযোগ্য ভারতের কোনো বন্দর সেই তালিকায় ছিল না।
যৌথ বিবৃতিতে ছিল না ভারতের বিতর্কিত এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জির প্রসঙ্গও। এনআরসিকে ভারত একদিকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করে আসছে, অন্য দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহসহ বিজেপি নেতারা অনেকেই হুমকি দিচ্ছেন এনআরসি বাতিলদের বাংলাদেশে ডিপোর্ট করা হবে।
এই পটভূমিতে বাংলাদেশ চেয়েছিল এনআরসি নিয়ে তাদের উদ্বেগের কিছু নেই, এই আশ্বাসটা ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আসুক। কিন্তু দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতে অন্তত তার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।


আরো সংবাদ



premium cement
থামছে না পুঁজিবাজারে পতন বিনিয়োগকারীদের আর্তনাদ ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু: নাগাল্যান্ডে ভোটার উপস্থিতি প্রায় শূন্য কারাগার এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপির হাল ধরার কেউ নেই : ওবায়দুল কাদের পাবনায় ভারতীয় চিনি বোঝাই ১২টি ট্রাকসহ ২৩ জন আটক স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমার বিজিপির আরো ১৩ সদস্য পালিয়ে এলো বাংলাদেশে শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে ২ ভাইকে হত্যা ইরানে ইসরাইলি হামলার খবরে বাড়ল তেল সোনার দাম যতই বাধা আসুক ইকামাতে দ্বীনের কাজ চালিয়ে যাবো : ডা: শফিকুর রহমান

সকল