২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আবরার হত্যার প্রতিবাদে সহপাঠীদের গ্রাফিতি

আবরার হত্যার প্রতিবাদে সহপাঠীদের গ্রাফিতি - নয়া দিগন্ত

আবরার!! বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত নাম। একটি হত্যা, বাবা-মা, পরিবার ও সহপাঠীদের কান্না আর দেশের ১৬ কোটি মানুষের ক্ষোভ নামটিকে তুলে এনেছে সবার আলোচনায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের আবাসিক হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে হত্যার শিকার হওয়া বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের কথা বলছি। ভারতের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে সারাদেশের সাধারণ ছাত্র সমাজ। আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথেও নামেন তারা। সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবিতে নানা কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখছেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আবরার হত্যার প্রতিবাদে বুয়েট ক্যাম্পাসের সামনে বিভিন্ন দেয়ালে প্রতিবাদী গ্রাফিতি আঁকছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি গ্রাফিতির মাঝে প্রকাশ পাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ, রাগ, অভিমান, আবরারকে হারানোর কষ্ট এবং ক্যাম্পাসে তাদের নিরাপত্তাহীনতার প্রতিচ্ছবি। আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাস এখন বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি।

বুয়েটের আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী সাফায়েত আলম আবির নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা এসব গ্রাফিতির মাধ্যমে আমাদের পুরো আন্দোলনের দাবিগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এখানে আবরারের লাশের গ্রাফিতি আছে, তার বাবার ছবি আছে।

বুয়েটের আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের আরেক শিক্ষার্থী আকিব নয়া দিগন্তকে জানান, আবরার হত্যার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে আমাদের ক্যাম্পাস নিরাপদ নয়। শুধু আবরার হত্যাকাণ্ডই না, এর আগেও ক্যাম্পাসে এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং আবরার হত্যার পরে আরো অনেক ঘটনা বের হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হয়েছে আমাদের ক্যাম্পাসে আমরা শিক্ষার্থীরাই নিরাপদ নই। আমরা সবাই মনে করি যতদিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বুয়েট ক্যাম্পাস নিরাপদ না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের ছোট ভাই-বোনদের নতুন করে এই ক্যাম্পাসে আসা নিরাপদ মনে করছি না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের আরেক শিক্ষার্থী নয়া দিগন্তকে জানান, আমাদের আন্দোলনের মূল বেসিক বিষয়টি হলো আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার। তবে আবরার হত্যার পরে আমাদের সামনে আরো অনেকগুলো ঘটনা বের হয়ে আসছে যারা এরকম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারা হয়তো জীবিত আছেন তবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার যে বুয়েটের মত একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম দিন এসে সালাম না দেয়ার কারণে র‌্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়। চড় খেয়ে, কান ধরে উঠবস করে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়।

তিনি আরো বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে এতটাই অনিরাপদ যে, একজন নতুন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এসে নিজের হলে নামাজ পড়তে যেতেও ভয় পায়। কারণ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কিছু অসাধু নেতাকর্মীরা নামাজ পড়তে দেখলে তাদেরকে শিবির সন্দেহে নির্যাতন, মারধর এমনকি হত্যাও করতে পারে। আসলে আমরা এই অনিরাপদ ক্যাম্পাস ব্যবস্থা থেকে উত্তরণ চাই। আমরা আশা করব আমাদের এসব ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার মাধ্যমে বুয়েট ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ আ’লীগের চুয়াডাঙ্গায় হিট‌স্ট্রো‌কে যুবকের মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর নারীর মৃত্যু ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩ তীব্র গরমে কী খাবেন আর কী খাবেন না এবার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বললেন এমপি জয় পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

সকল