২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভেবেচিন্তেই পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ : পাপন

- ফাইল ছবি

আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি এবং দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে নিরাপত্তা অজুহাতে সেখানে শুধু টি-টোয়েন্টি খেলতে চেয়েছিলেন টাইগাররা। আর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টেস্ট খেলার ইচ্ছের কথা জানিয়েছিল বিসিবি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এ প্রস্তাব পছন্দ হয়নি পাকিস্তানের। পাকিস্তানের মাটিতেই সব ম্যাচ খেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞার কথা জানায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বিসিবি নিজের অবস্থানে অনড় থাকায় দুই বোর্ডের মধ্যে কথা চলতেই থাকে।

এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আইসিসির সদর দফতরে সংস্থাটির চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের উপস্থিতিতে জরুরি বৈঠকে বসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি। বৈঠকে বিসিবি ও পিসিবি’র প্রধান নির্বাহীও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে বহুল আলোচিত পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয় বাংলাদেশ। চূড়ান্ত হয় সফরটি।

সব চূড়ান্ত করে বুধবার বেলা ১১টার দিকে দেশে ফিরে আসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। প্রশ্ন ওঠে পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিবির কূটনৈতিক পরাজয় হয়েছে কিনা? জবাবে বোর্ডপ্রধান বলেন, সবকিছু ভেবেচিন্তেই পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি বিসিবির কূটনৈতিক পরাজয় নয়। আমাদের চাওয়াই পূরণ হয়েছে। সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তা হলে এফটিপির বাইরে গিয়ে একটি ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো কেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে পাপন বলেন, দ্বিতীয় টেস্টের প্রস্তুতি হিসেবে একটি ওয়ানডে যোগ হয়েছে। প্রথমে আরো একটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বলছিল পাকিস্তান। যেহেতু সূচিতে পরে টেস্ট আছে, তাই আমাদের ওয়ার্মআপের দরকার। এ জন্য ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে বেশি ওভার খেলা যাবে। প্রস্তুতিটাও ভালো হবে।

নাজমুল হাসান পাপন আরো বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আমাদের পরিস্থিতি বুঝতে পারায় পিসিবিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আইসিসির সময় সূচি মেনেই পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। সেখানে তিনটি টি-টোয়েন্টি, দুটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

তবে একটা বিষয়ে সবাই একমত যে, কূটনৈতিক দিক বিবেচনা করলে এই সফরের ক্ষেত্রে সফল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কারণ বাংলাদেশ তাদের মাটিতে টেস্ট খেলতে রাজি ছিল না। নিরপেক্ষ ভেন্যু ছাড়া। এই নিয়ে বিসিবি শক্ত অবস্থানে থাকলেও শেষ পর্যন্ত নিজেদের পাওনা সিরিজ আদায় করে নিয়েছে পাকিস্তান। তাও সবগুলো ম্যাচ নিজেদের ঘরের মাঠেই আয়োজন করবে। উল্টো বাড়তি একটি ওয়ানডেও আছে এই সিরিজে।

আগামী ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবে দুই দল। ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে পাকিস্তাদের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে। এরপর দেশে ফিরে এসে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে আবারো পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচ আগামী ৭-১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম টেস্ট খেলে আবারো দেশে ফিরে আসবে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে পড়ছে লম্বা বিরতি। প্রায় দেড় মাসব্যাপী পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল) সূচি চলার কারণে এই লম্বা বিরতি পড়ছে। পিএসএল শেষে আগামী এপ্রিল মাসের শুরুতে আবারো পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। এপ্রিলের ৩ তারিখ পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে সিরিজের একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। ওয়ানডে শেষে একই মাঠে ৫-৯ এপ্রিল সিরিজের শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলবে উভয় দল।


আরো সংবাদ



premium cement