২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

আসিফ আলীকে টেন্ডুলকারের সান্ত্বনা

বাবা হারানোর পর প্রথম মাঠে ফিরেই সেঞ্চুরি করে আকাশের দিকে চেয়ে শচীনের উদযাপন, (ডানে) আসিফ আলী - ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপ দলে নিজের নাম দেখার আগের দিন প্রাণপ্রিয় কন্যাকে হারিয়েছেন পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আসিফ আলী। দুই বছর বয়সী আসিফকন্যা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলো। যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার নুর ফাতিমার মৃত্যু হয়েছে। ক্রিকেট বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ এই দুঃসময়ে আসিফ আলীর পাশে দাড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন সাবেক ভারতীয় গ্রেট শচীন টেন্ডুলকারও।

ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, আসিফ আলীর যন্ত্রণাটা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন শচীন টেন্ডুলকার। কারণ তিনিও যে এক বিশ্বকাপের সময় নিজের পিতাকে হারিয়েছিলেন। আসিফকে সান্ত্বনা দিয়ে শচীন টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া পত্রিকাকে বলেছেন, পরিবারের কোন সদস্যকে হারানোর ঘটনা মানুষকে বিধ্বস্ত করে দেয়। আসিফ, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা। আপনজন হারানো ক্ষতি অপূরণীয়। তার ওপর ইংল্যান্ডে যখন বিশ্বকাপ খেলতে যাবে এই বেদনা তাকে পীড়া দেবে।

বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার সময় আপনজন হারানোর বেদনা শচীন টেন্ডুলকারকেও সইতে হয়েছে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের সময়ই শচীন হারিয়েছেন তার পিতাকে। টুর্নামেন্টের মাঝপথেই পিতা হারানোর খবর পেয়ে শচীন দেশে ফিরেছেন। এজন্য জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচটি খেলতে পারেননি তিনি। পিতাকে হারিয়ে ভেঙে পড়া টেন্ডুলকার পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে মায়ের অনুরোধে আবার ইংল্যান্ড যান বিশ্বকাপ খেলতে। এবং দলে ফিরেই পরদিন কেনিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নেমে খেলেছিলেন অপরাজিত ১৪০ রানের ইনিংস। সেদিন সেঞ্চুরি করে শচীন টেন্ডুলকার নির্বাক চেয়েছিলেন আকাশের দিকে। যেন হারানো বাবাকেই খুঁজছেন সেখানে। ওই দিনের পর থেকেই শচীন টেন্ডুলকার প্রতিটি সেঞ্চুরির উদযাপন করতেন আকাশের দিকে তাকিয়ে।

শচীন বলেন, ১৯৯৯ বিশ্বকাপের শুরুর দিকে আমি আমার পিতাকে হারিয়েছিলাম। বিশ্বকাপ রেখেই আমাকে দেশে ফিরতে হয়েছে। এরপর আবার মাঠে ফিরলেও বাবাকে হারানো বেদনা ভোলা সম্ভব হয়নি। বাবা হারানোর বেদনা ভুলতে অনেক সময় লেগেছিল। আসিফ আলীর জন্য আমার শুভ কামনা রইল।


আরো সংবাদ



premium cement