২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জাল দলিলে সাবেক সেনা সদস্যের পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ

সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী - নয়া দিগন্ত

দিনাজপুর চিরিরবন্দরে চকসন্যাসী এলাকায় জাল দলিলে জোর পূর্বক সাবেক এক সেনা সদস্য ও তার পরিবারকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে ভাই ও ভাতিজারা। শুধু তাই নয়, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার পর জাল দলিলে তাদের জমিও দখল করে নিয়েছে। এ ঘটনায় ওই পরিবারটি এখন পথে বসেছে। বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

চিরিরবন্দর থানা, ভূক্তভোগি ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চক সন্যাসী গ্রামের ইসমাইল হোসেনের পুত্র সুমন ও তার সহযোগিরা জাল দলিল তৈরী করে একই এলাকার এফাজ উদ্দিনের পুত্র সাবেক সেনা সদস্য আব্দুল জব্বারের বাড়িসহ ৭৩ শতক জমি জোর করে দখলের করেছে। সুমন সম্পর্কে আব্দুল জব্বারের ভাতিজা। আব্দুল জব্বারের অভিযোগ, সুমন তার দলবল নিয়ে গত ২৫ মে ওই জমি এবং বাড়িঘর অবৈধভাবে দখল করে। এসময় আব্দুল জব্বারও তার লোকজন বাঁধা দিতে গেলে আব্দুল জব্বার গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় চিরিবন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ এ নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। একারনে জবর দখলকারিরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

আব্দুল জব্বারের অভিযোগ, এর আগে গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারী জমি দেখাশুনার জন্য আমি ওই এলাকায় গেলে সুমন, আলমগীর ও শাপলাসহ ও তার দলবল আমাকে তাদের বাড়ির ঘরের দরজা বন্ধ করে আটকে রেখে হত্যার চেস্টা করে। খবর পেয়ে আমার পুত্র বেলায়েত হোসেন ১৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং আলমগীর হোসেন ও শাপলাকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি মামলা করতে চাইলে স্থানীয় কেশবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া বিয়য়টি মিমাংসার নামে কালক্ষেপন দায়িত্ব নিয়ে মামলাটি ঠেকে রাখে। পরে মিমাংসার নামে টালবাহনার মাধ্যমে কালক্ষেপন করে মামলা রেকর্ড হওয়া থেকে বিরত রাখে। পরে আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চিরিরবন্দর থানায় জিডি( নং-৬৮৩) করি। আব্দুল জব্বারের অভিযোগ, সুমন একজন বিজিবি সদস্য। যশোরের ঝুনঝুনপুর ক্যাম্পে কর্তব্যরত থাকলেও ছুটিতে এসে এখন সে আবারও এলাকায় জমি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছে। এর আগে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ভাংচুর করায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে (নং ০৭ তাং ০৪/০৩/১৮)।

ইশবপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোক্তার মন্ডল বলেন, জব্বার আরমিকে তালা বদ্ধ করে আটকানোর খরবটি সত্য। এ ঘটনায় আলমগীর কে থানায় ধরে নিয়ে গেলে আমরা মিমাংসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আলমগীরকে ছেড়ে নিয়ে এসেছি। তবে পরবর্তীতে বিষয়টি মিমাংসা হয়নি। আসলে আব্দুল জব্বার এলাকায় না থাকার কারনে এই পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে।

ইশবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া জানান, জব্বারকে আটকে রাখার অপরাধে আলমগীর ও শাপলাকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল। আমি বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।

এ বিষয়ে ব্যাপারে বিজিবি সদস্য সুমন জানান, ওই জমি আমাদের। ওরাই অবেধভাবে দখল করে আছে এবং সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।

চিরিবন্দর থানার ওসি হারিছ চৌধূরী বলেন, আমরা মামলা নিয়ে তদন্ত করছি। তদন্তের পরে ঘটনার সত্যতা উম্মোচন হবে।


আরো সংবাদ



premium cement