২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএনপির সাবেক মেয়র চান আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান বিএনপির সাবেক মেয়র - ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির ব্যানারে লক্ষাধিক ভোটে জেতা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম এবার আওয়ামী লীগের মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে ব্যস্ত। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়র পদে মনজুর আলমের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

একসময় চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের দাপুটে নেতা পরলোকগত মহিউদ্দিন চৌধুরীর নগরসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন মনজুর আলম। চসিক নির্বাচনে ২০১০ সালে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন না পেয়ে হঠাৎ দল পরিবর্তন করে বিএনপিতে যোগ দেন। পরে মনজুর বিএনপির সমর্থন পেয়ে মেয়র নির্বাচন করেছিলেন এবং চট্টগ্রামের তিন বারের মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে প্রায় লক্ষাধিক ভোটে হারিয়ে জয়ী হন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ দেয়া হয়।

মনজুর আলম এই সত্যতা স্বীকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, এখন আওয়ামী লীগের ডাকের অপেক্ষায় আছেন তিনি। তিনি বলেন,‘ডাক পেলে ঢাকায় যাব। দল চাইতে হবে, না হলে ঢাকায় গিয়ে লাভ কী? এর বাইরে আমার কোনো সিদ্ধান্ত নেই’।

২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে হেরেছিলেন সেই সময়কার বিএনপি নেতা মনজুর আলম। তারপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারো আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু তখন আওয়ামী লীগ তাকে মনোনয়ন দেয়নি।

তবে এবারের সিটিতে মনজুর মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। তার কর্মী-সমর্থকরা মনে করেন আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল এড়াতে এবার তাকেই বেছে নেবে।

এদিকে চসিক নির্বাচনে নৌকার মেয়রপ্রার্থী হতে এরই মধ্যে ৯ জন ঢাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের পাশাপাশি মেয়রপ্রার্থী হতে চাইছেন আরেক নেতা ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামও প্রার্থী হতে চান।

উল্লেখ্য, বিএনপির টিকিটে মেয়র হলেও সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করতেন নগর আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীকে। এ ছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান করে সেটির ব্যানারে সমাজসেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন। এ নিয়ে বিএনপি নেতাদের ক্ষোভ ছিল তার প্রতি। তবু পরের নির্বাচনে তাকেই ধানের শীষের টিকিট দেয় বিএনপি।

২০১৫ সালে সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মনজুর, যদিও পরে আবার পুরনো দলে ফিরে সংসদ নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন।

এ বিষয়ে মনজুর বলেন, রাজনীতি করব না বলেছিলাম, সাথে এটিও বলেছিলাম সমাজসেবা করে যাব। সেই কমিটমেন্ট আমি রেখেছি। এক মিনিটের জন্যও সমাজসেবা থেকে বিচ্যুত হইনি। এটিও একটি দায়িত্ব পালন। মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালন আমি করে গেছি।
এবার নির্বাচনে আগ্রহী হলেও দলের মনোনয়ন না পেলে সে পথেই হাঁটবেন বলে জানান মনজুর।


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল