২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
রিফাত হত্যা

‘জেমস বন্ড’ থেকে নয়ন বন্ড, রয়েছে গোপন গ্রুপ

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার আলোচিত এ ঘটনার দু’দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে নয়ন বন্ডের বিভিন্ন তথ্য বেরিয়ে আসছে।

প্রধান আসামীর মূল নাম সাব্বির আহমেদ নয়ন হলেও কর্মকাণ্ডের জন্য রহস্য উপন্যাসের চরিত্র জেমস বন্ডের নাম নিজের নামে জুড়ে দেয় নয়ন। ফলে সহযোগীরা তাকে ডাকা শুরু করে ‘নয়ন বন্ড’ নামে।

এছাড়াও নয়ন বন্ডের জিরো জিরো সেভেন(০০৭) নামেও গোপন বাহিনীর তথ্য পাওয়া গেছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গোপন গ্রুপের মাধ্যমে বিভিন্ন অপকর্মের বিষয়ে আলোচনা করত বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রকাশ্যে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফ কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১২ আসামির নাম উল্লেখ করে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন তার বাবা মো. আ. হালিম দুলাল শরীফ।

তবে রিফাতের বাবার দাবি, এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় আরও অনেকে। তারা ঘটনাস্থল বরগুনা কলেজের ভেতর থেকে রিফাতকে টেনে হিঁচড়ে বের করে বাইরের রাস্তায় আনে। এসময় আগে থেকে সশস্ত্র অবস্থায় ওঁৎ পেতে থাকা নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে তার ছেলেকে হত্যা করে। কলেজ থেকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে আনতে গিয়ে রিফাত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

আলোচিত এ মামলাটিতে ক্রম অনুযায়ী আসামিরা হলেন, মো. সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড) (২৫), মো. রিফাত ফরাজী (২৩), মো. রিশান ফরাজী (২০), চন্দন (২১), মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন (১৯), মো. হাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), মো. রায়হান (১৯), মো. হাসান (১৯), রিফাত (২০), মো. অলি (২২) ও টিকটক হৃদয় (২১)। বাকি ৫ থেকে ৬ জন অজ্ঞাত আসামি।

১. সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড। বরগুনায় মো. শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যার মূল আসামি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাকে। বরগুনা পৌর শহরের ডিকেপি রোড এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড)।

শহরের কলেজ রোড, ডিকেপি সড়ক, কেজি স্কুল ও ধানসিঁড়ি সড়কে মূলত নয়নের বিচরণ ছিল। ছিনতাই, ছাত্রদের মুঠোফোন জিম্মি করে টাকা আদায়, ছোটখাটো মারধর থেকে তার অপরাধ প্রবণতা শুরু হলেও ২০১৭ সালে পুলিশি অভিযানে নয়নের কলেজ রোডের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ তাকে আটক করে পুলিশ। এরপরই নয়ন নামটি লাইমলাইটে চলে আসে। ওই মামলায় জামিনে আসার পর বেপরোয়া হয়ে ওঠে নয়ন।

এরপর সে নিয়মিত মাদকব্যবসায় জড়িয়ে যায় এবং রিফাত ফরাজীকে সঙ্গে নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করে সে। ওই গ্রুপে নয়নের সহযোগী হিসেবে বরগুনা পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি সড়কের দুলাল ফরাজীর দুই ছেলে রিফাত ফরাজী ও তার ছোটভাই রিশান ফরাজী কাজ করতো।

মূল নাম সাব্বির আহমেদ নয়ন হলেও কর্মকাণ্ডের জন্য রহস্য উপন্যাসের চরিত্র জেমস বন্ডের নাম নিজের নামে জুড়ে দেয় নয়ন। ফলে সহযোগীরা তাকে ডাকা শুরু করে ‘নয়ন বন্ড’ নামে। রিফাত ফরাজী ও অন্যদের সহযোগিতায় ধানসিঁড়ি সড়ক থেকে শুরু করে শহরজুড়ে অপরাধের সার্মাজ্য গড়ে তুলেছিল নয়ন। বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হলেও আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে ফের অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

চুরি ছিনতাই লুটপাট, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে নয়নের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। কিছুদিন আগে নয়নের বাসা থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ইয়াবা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ নয়নকে গ্রেফতার করে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে নয়ন।

কোনও রাজনৈতিক পদ-পদবি না থাকলেও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি এবং বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে ছাত্রলীগ নামধারী রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীদের সঙ্গে চলাফেরা করায় কাউকেই পরোয়া করছিল না নয়ন।

তবে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে ভায়রার ছেলে হিসেবে স্বীকার করলেও তারা মাদকাসক্ত হওয়ায় ওই পরিবারের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন।

অপরদিকে, নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের আগে প্রেমঘটিত সম্পর্কের দাবি করে বেড়ালেও মিন্নি বলেছেন, বখাটে নয়ন বন্ডের সঙ্গে তার কোনও রকম সম্পর্কই ছিল না। বরং রাস্তাঘাটে তাকে নিয়মিতভাবে উত্ত্যক্ত করতো নয়ন। তার রিকশায় হুট করে উঠে যেত। তাকে যখন তখন বিরক্ত করতো। বিষয়টি পরিবারকে জানানোর পরেই রিফাত শরীফের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার। তিনি এই বখাটে ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন।

২.রিফাত ফরাজী। শরীফ হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি। রিফাত ও রিশান ফরাজী সম্পর্কে তারা আপন ভাই। একসঙ্গেই তারা সব অপরাধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। বরগুনা পৌরসভার ধানসিঁড়ি সড়ক এলাকার দুলাল ফরাজীর ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী। ধানসিঁড়ি সড়কের রিফাত ফরাজী ও রিশান বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির মূল ফটক ও বাসার দরজা তালাবদ্ধ।

ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সকালে ঘরের দরজা তালাবদ্ধ ও বাড়ির গেট ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পেয়েছেন তারা।

ধানসিঁড়ি সড়কের কয়েকজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নয়ন বন্ডের ডান হাত ও বাম হাত হিসেবে কাজ করতো এই দুই ভাই। মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসাই ছিল এদের মূল পেশা। এদের বিরুদ্ধে একাধিক ছিনতাই ও ছাত্রদের মেসে ঢুকে মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় তরিকুল ইসলাম (২১) নামে এক প্রতিবেশীকে কুপিয়ে মারাত্মক যখম করেন রিফাত ফরাজী।
এছাড়াও এই গ্রুপের নিয়মিত সদস্য ছিল আমতলার পার এলাকার চন্দন, বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি রোড এলাকার মো. মুসা, কেওড়াবুনিয়া এলাকার কালাম আকনের ছেলে রাব্বি আকন, কলেজিয়েট স্কুল রোড এলাকার মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, কেজি স্কুল এলাকার রায়হান, একই এলাকার মো. হাসান, সোনালী পাড়া এলাকার রিফাত, একই এলাকার অলি ও টিকটক হৃদয়।

রিফাত ও রিশান ফরাজী সম্পর্কে এলাকাবাসী ও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বলছেন, নয়ন ও রিফাত দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধে জড়িত থাকলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতো না। বারবার আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে ফের অপরাধে জড়িয়ে পড়তো তারা। গত বুধবার রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিফাত ও নয়নের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগীরা।

৩. রিশান ফরাজী। এ হত্যা মামলাটির তিন নম্বর আসামি। ভুক্তভোগী তরিকুল রিফাত ফরাজী সম্পর্কে জানান, একদিন তার সঙ্গে রিফাত ফরাজীর সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। তখন রিফাত ফরাজী তাকে কুপিয়ে জখম করার হুমকি দেন। রিফাত ফরাজীর ভয়ে তিনি দেড় মাস ওই সন্ত্রাসীর বাসার সামনে দিয়ে না গিয়ে আধা কিলোমিটার পথ ঘুরে নিজ বাসায় যাওয়া-আসা করতেন। তবে এতেও ক্ষোভ কমেনি রিফাত ফরাজীর। হুমকি দেওয়ার দেড় মামের মাথায় একদিন সন্ধ্যায় তরিকুল তার বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়। এসময় রিফাত দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তরিকুলের মাথায় গুরুতর জখম করে। এ ঘটনায় তরিকুলের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

২০১৭ সালে বরগুনার হোমিও চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দিন আহমেদের ডিকেপি রোডের বাসার ছাত্র মেসে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে বাসায় থাকা সব ছাত্রদের জিম্মি করে, তাদের ১৪টি মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ রিফাত ফরাজীর বাবা দুলাল ফরাজীকে আটক করে মোবাইলগুলো উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ‘ডিকেপি রোডে আমাদের ভাড়া দেওয়া বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেসে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের মুখে ১৪টি মোবাইল ছিনতাই করে রিফাত ফরাজী। এ ঘটনা জানার পর আমি বরগুনা সদর থানায় গিয়ে অভিযোগ করায় রিফাতের বাবা দুলাল ফরাজীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তিনি রিফাতের কাছ থেকে ছিনতাই করা ১৪টি মোবাইলের মধ্যে ১১টি উদ্ধার করেন। আর বাকি তিনটি মোবাইল উদ্ধার করতে না পেরে নতুন মোবাইল কিনে দিয়ে থানা থেকে মুক্তি পান।

৪.চন্দন। রিফাত শরীফ হত্যা মামলাটির চার নম্বর আসামি হিসেবে অভিযুক্ত চন্দন (২১)। মামলার এজাহারে তার বিস্তারিত পরিচয় ও বাবার নাম উল্লেখ করা হয়নি। তার বাড়ি বরগুনার আমতলা পাড়। নয়ন বন্ডের সাগরেদ হিসেবে সব সময় তার সঙ্গে ঘোরাফেরা করতো চন্দন। তার নামেও এলাকায় অনেক ধরনের অভিযোগ রয়েছে। রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগের পর বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তাকে গ্রেফতার করে বরগুনা সদর থানা পুলিশ।

৫.মুসা। মামলার পাঁচ নম্বর আসামি। তার বাড়ি বরগুনা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তবে মামলায় তার বাবার নাম উল্লেখ করা হয়নি। রিফাতকে হত্যার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে সে।

৬.রাব্বি আকন (১৯)। মামলার ছয় নম্বর আসামি। তার বাবার নাম কালাম আকন। বাড়ি বরগুনার কেওড়াবুনিয়ায়।

৭.হাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯)। মামলার সাত নম্বর আসামি। তার বাড়ি বরগুনার কলেজিয়েট স্কুল সড়কে। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক রয়েছে। নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সঙ্গে সে এলাকায় ঘোরাফেরা করতো বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।

৮.রায়হান (১৯)। মামলার আট নম্বর আসামি। বরগুনা কেজি স্কুল সড়কে তার বাসা। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক।

৯.হাসান (১৯)। মামলার ৯ নম্বর আসামি। শহরের কলেজ রোড এলাকায় বাসা। বাবার নাম এখনও জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক।

১০.রিফাত (২০)। রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় এই রিফাতও ১০ নম্বর আসামি। তার বাড়ি সোনালী পাড়ায়। তবে ঘটনার পর থেকেই সে এলাকা ছাড়া।

১১.অলি (২২)। সোনালী পাড়ারই আরেক যুবক অলি এই হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি। হত্যাকাণ্ডের সময় রিফাত শরীফকে বরগুনা কলেজ থেকে টেনে বের করে আনার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী গ্রুপের অন্যতম সদস্য ও তাদের সহযোগী। ঘটনার পর থেকেই পলাতক।

এদের বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, আমরা আসামিদের চিহ্ণিত করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।

দেশব্যাপী আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড এবং রিফাত ফরাজি আরও ১২টি মামলার আসামি বলে জানা যায়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত হওয়া এসব মামলায় তাদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিটও দাখিল করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুর ১টার দিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার সময় এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।

এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, রিফাত ফরাজির নামে চারটি ও নয়ন বন্ডের নামে আটটি মামলা রয়েছে। এসব মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। নয়ন বন্ডের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার মধ্যে দুটি মাদক মামলা, একটি অস্ত্র আইনের মামলা এবং পাঁচটি মারামারির মামলা রয়েছে। এসব মামলার প্রতিটিতেই পুলিশ নয়ন বন্ডকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement