১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫
`


নির্বাচনে লড়বেন থাই প্রিন্সেস

নির্বাচনে থাই প্রিন্সেসের মনোনয়ন ফরম দেখাচ্ছেন দলের নেতারা - ছবি : সংগৃহীত

অপ্রত্যাশিতভাবে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন থাইল্যান্ডের একজন প্রিন্সেস। দীর্ঘ দিন পরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনে প্রিন্সেস রাজকন্যা উবোলরাতানা রাজাকন্যা সিরিভাদানা বার্নাভাদিকে মনোনয়ন দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মিত্রদের দল থাই রক্ষা চার্ট।


নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করা ৬৭ বছর বয়সী উবোলরাতানা দেশটির রাজা মাহা ভাজিরালঙকর্নের বড় বোন। তার এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশটির দীর্ঘদিনের ইতিহাসে এই প্রথম রাজপরিবারের কেউ সরাসরি রাজনীতিতে জড়ালো।


উবোলরাতানা রাজপরিবারের সদস্য হলেও ১৯৭২ সালে মার্কিন এক ব্যক্তিকে বিয়ে করলে তার রাজকীয় পদবী বিলুপ্ত হয়ে যায়। পরে ওই ব্যক্তির সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ হলে ১৯৯০ সালের শেষ দিকে তিনি থাইল্যান্ডে ফেরত আসেন। কিন্তু তার পুরনো সেই স্থান তিনি ফেরত পাননি। তবে থাইল্যান্ডের লোকজন তাকে প্রিন্সেস বলেই মনে করে এবং তার প্রতি সেভাবেই তারা সম্মান প্রদর্শন করে।


উবোলরাতানা সিনাওয়াত্রা পরিবারের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। সিনাওয়াত্রা পরিবার আগামী ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে সরাসরি অংশ নিতে না পারলেও মিত্রদের মাধ্যমে এ নির্বাচনে ঠিকই প্রভাব রাখছেন।


থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক ওয়েইনি হেই বলেন, থাইল্যান্ডের অনিশ্চিত রাজনীতিতে প্রিন্সেসের অংশগ্রহণের বিষয়টি আরেক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।


থাইল্যান্ডের মানুষ যদিও বিশ্বাস করে, তারা দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী গোষ্ঠী। কিন্তু তারপরও তারা কখনো সরাসরি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেনি। বরং তারা সবসময় রাজনীতির উর্ধ্বেই অবস্থান করছিলেন।


এদিকে থাইল্যান্ডের বর্তমান সামরিক সরকারের প্রধান প্রায়ুথ চান-ওচা শুক্রবার পৃথক আরেকটি বিবৃতিতে জানান, সেনা সমর্থিত পালঙ প্রাচারাত পার্টির পক্ষ থেকে তিনিও প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।


২০১৪ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে থাকসিন সিনাওয়াত্রার বোন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার প্রশাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। সে সময় সেনাপ্রধান প্রায়ুথ নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন। প্রিন্সেস উবোলরাতানা প্রায়ুথের একজন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।


আলজাজিরার প্রতিবেদক হেই বলেন, ২০০৬ সালে অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত থাকসিন এবং ২০১৪ সালে ক্ষমতাচ্যুত ইংলাক সবসময়ই অভিজাত গোষ্ঠীর শাসনের বিরোধী ছিলেন। ফলে তাদের সমর্থকদের সাথে সমাজের অভিজাত শ্রেণির সমর্থকদের মাঝে গত দশকে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় সিনাওয়াত্রা সমর্থিত দল থেকে দেশটির রাজ পরিবারের কারো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সুনিশ্চিতভাবেই নতুন একটি মাত্রা যোগ করবে।


থাইল্যান্ডে ১৯৩২ সাল থেকে সাংবিধানিকভাবে রাজতন্ত্র চলে আসছে। বর্তমানে দেশটিতে রাজপরিবারের বেশ প্রভাবশালী ভূমিকা রয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement