১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আমিও বলতে চাই  

ধর্ষক নামের পশুদের রুখতে কিছু প্রস্তাবনা

-

রাজধানীর কুর্মিটোলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে গণধর্ষণ, ঝোপের মধ্যে পাওয়া গেল ভিকটিমের বই-ঘড়ি-ইনহেলার। আবারো আন্দোলন। আবারো উত্তাল বিচারপ্রার্থীরা। আবারো আশার বাণী। কিন্তু এভাবে কতদিন? একের পর এক ধর্ষণ! এই ধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতে দেশের আরো কয়েক স্থানে ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
প্রতি বছরই বাড়ছে ধর্ষণের ঘটনা। ২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে ধর্ষণের ঘটনা পত্র-পত্রিকায়ই প্রকাশিত হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ২০২০ সাল শুরু হতে না হতেই খোদ রাজধানীতেই ঘটে গেল এমন পাশবিক ঘটনা যা পুরো জাতিকে মর্মাহত করেছে।
ধর্ষকের বিচার বিলম্ব না করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার ও সাজা কার্যকর করলে ধর্ষণ কিছুটা হলেও কমবে। অন্য দিকে, এ অপরাধের শাস্তি বাড়িয়ে ফাঁসি করা যেতে পারে!
ধর্ষণ রোধে এখন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে কেবল প্রতিহত করা যাবে না। এর শাস্তির ভয়াবহতা বাড়িয়ে পশুদের মনে ভয়ের কম্পন ধরাতে হবে।
প্রস্তাবনাÑ
১. ধর্ষণের শাস্তি খুব দ্রুত দেয়ার আইন চালু করা, এতে পশুরা কিছুটা ভয় পাবে;
২. ধর্ষণের শাস্তি সর্বোচ্চ করা, ফাঁসিসহ মালামাল ক্রোক করার বিধান চালু;
৩. ধর্ষকের শাস্তি ঢাকঢোল পিটিয়ে বা প্রকাশ্যে প্রচার করে দেয়া, এতে পশুদের মনে কিছুটা প্রভাব পড়বে;
৪. ধর্ষক প্রমাণ হওয়ার পর তার ছবির বিজ্ঞাপন সারা দেশে প্রচারের ব্যবস্থা করা;
৫. ধর্ষককে সহায়তাকারীদের একইভাবে শাস্তি এবং সামাজিকভাবে হেয় করার ব্যবস্থা নেয়া;
৬. ধর্ষিতাকে সম্মাননা এবং ক্ষতিপূরণ দেয়া;
৭. ধর্ষকদের সামজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে নাগরিকের সব অধিকার কেড়ে নেয়া।
কাজী সুলতানুল আরেফিন
পূর্ব শিলুয়া, ছাগলনাইয়া, ফেনী।


আরো সংবাদ



premium cement