১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

যুক্তরাষ্ট্রে গুলির নিশানা হয়েছেন যেসব প্রেসিডেন্ট ও প্রার্থীরা

ডোনাল্ড ট্রাম্প - ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া রাজ্যে সভায় ভাষণের সময় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেল গুলি। তিনি প্রথম নন, যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের প্রচারে ও রাজনীতিকদের জনসংযোগের সময় গুলি চলেছে আগেও। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্পের মতো প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরাও ছাড় পাননি।

ট্রাম্পের সাহসকে সম্মান জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র।

ভোটের এক বছর আগে জনসংযোগে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান জন এফ কেনেডি। রবার্ট জুনিয়রের বাবা রবার্ট এ কেনেডিও ছিলেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে, গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনিও প্রাণ হারিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন প্রথম নিহত হন আব্রাহাম লিঙ্কন। ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনে থিয়েটার দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। মার্কিন ষোড়শ প্রেসিডেন্টকে মাথার পেছনে গুলি করা হয়েছিল। পরদিন সকালে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার ছয় মাসের মাথায় গুলিবিদ্ধ হন জেমস গারফিল্ড। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ২০তম প্রেসিডেন্ট। ১৮৮১ সালের ২ জুলাই ওয়াশিংটনের একটি স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন। বুকে গুলি লাগে তার। দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর মৃত্যু হয়েছিল তার।

১৯০১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের বাফেলোতে একটি সভার পর লোকজনের সাথে হাত মেলাচ্ছিলেন উইলিয়াম ম্যাককিনলে। তখনই বুকে এসে লাগে দু’টি গুলি। ওই বছর ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় যুক্তরাষ্ট্রের ২৫তম প্রেসিডেন্টের।

১৯৩৩ সালে মায়ামিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। হুডখোলা গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন তিনি। তাকে লক্ষ্য করে ছুটে আসে গুলি। যদিও বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি।

১৯৫০ সালে হোয়াইট হাউসের কাছে ব্লেয়ার হাউসে ছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান। সেই বাড়িতে ঢুকে গুলি চালায় দু’জন। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম প্রেসিডেন্ট প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। এক আততায়ী ও হোয়াইট হাউসের এক রক্ষী নিহত হয়েছিল।

১৯৬৩ সালের নভেম্বরে ডালাসে জনসংযোগের জন্য গিয়েছিলেন ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। সাথে ছিলেন স্ত্রী জ্যাকিলন কেনেডি। হুডখোলা লিমুজিনে চড়ে জনসংযোগ করছিলেন তিনি। তাকে লক্ষ্য করে ছুটে আসে গুলি। সাথে সাথে পার্কল্যান্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার।

প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড, রোনাল্ড রিগান, জর্জ ডব্লিউ বুশকে লক্ষ্য করেও ছুটে এসেছিল গুলি। তারা প্রাণে বেঁচেছিলেন।

ট্রাম্পের মতো এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের লক্ষ্য করেও ছোড়া হয়েছে গুলি। ১৯১২ সালে মিলওয়াউকিতে প্রচারে গিয়েছিলেন থিওডোর রুজভেল্ট। সেখানে তাকে লক্ষ্য করে ছুটে আসে গুলি।

জন কেনেডির ভাই রবার্ট এফ কেনেডি ছিলেন ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড়ে। ১৯৬৮ সালে ক্যালিফর্নিয়া প্রাইমারি ভোটে জেতার পর ভাষণ দিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের হোটেলে ফিরেছিলেন। সেখানে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

সেই রবার্টের ছেলে রবার্ট জুনিয়র জানান, ট্রাম্পের সাহস ‘অনুপ্রেরণা’ জোগায়। তার কথায়, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার পরিবারকে বার্তা পাঠিয়েছি। জানিয়েছি, তিনি সুস্থ রয়েছেন জেনে আমি কতটা স্বস্তি পেয়েছি। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
মংড়ুতে বাংলাদেশ সীমান্তের শেষ বিজিপি ঘাঁটির পতন ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় বা প্রতিবেশী অন্য দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ গোলান মালভূমির বাফার জোনে ইসরাইলি সেনা, মিসরের নিন্দা ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে : ডা: শফিক প্রথম প্রান্তিকে বাজেট বাস্তবায়ন ১২% সুদ পরিশোধেই অর্ধেকের বেশি ব্যয় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী ভারত পোশাকশ্রমিকদের আরো ৪ শতাংশ বেতন বাড়াল সরকার সিরিজ বাঁচানোর লড়াই আজ বাংলাদেশে ইসকনের সবাই ভালো আছে, পরিকল্পিত গুজব ছড়ানো হচ্ছে : দেবশঙ্কর শেখ হাসিনার পুরো পরিবার ছিল চোর : আসিফ নজরুল পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রস্তুতি

সকল