১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কানাডার নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ!

কানাডার নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ! - ছবি : সংগৃহীত

কানাডার নিরাপত্তাবিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা (সিএসআইএস) সম্প্রতি একটি তদন্ত রিপোর্টের নির্যাস প্রকাশ করে, যাতে ২০১৯ এবং ২০২১-এর সাধারণ নির্বাচনে যথাক্রমে পাকিস্তান এবং ভারত গোপনে সক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ। তারা কানাডার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল বলে গোয়েন্দাদের দাবি। তাদের বক্তব্য, ২০২১ সালে ভারত সরকার কানাডার ভারতীয়-অধ্যুষিত নির্বাচনী এলাকাগুলো নিয়ে আলাদা করে নজরদারি চালিয়েছিল।

খালিস্তানপন্থী এবং পাকিস্তানপন্থী ভোটারদের ওপরে নজর ছিল। প্রক্সি এজেন্ট তৈরি করে অর্থের বিনিময়ে জনমত ঘোরানোর চেষ্টাও হয়েছিল বলে কানাডার দাবি। একই রকমভাবে ২০১৯ সালে পাকিস্তান তার নিজের স্বার্থ ইন্ধন দিতে সক্রিয় ছিল বলেও অভিযোগ। এ বছর জানুয়ারি মাসে এই তদন্তের ব্যাপারে অগ্রসর হয় কানাডা। গত বছরে কানাডায় চীনের প্রভাব খাটানোর ব্যাপারে গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার পরেই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। চিনের পাশাপাশি নাম জড়ায় রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তানেরও।

ভারত অবশ্য গোড়া থেকেই এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘কানাডীয় কমিশনের তদন্ত বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে জেনেছি। কানাডার নির্বাচনে ভারতীয় হস্তক্ষেপের ভিত্তিহীন অভিযোগ আমরা ঘোরতরভাবে অস্বীকার করছি। অন্য দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা ভারতের নীতি নয়। বরং উল্টাটাই সত্যি। কানাডাই আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়ে আসছে।’

তবে ভারতে নির্বাচনের আগে এই অভিযোগ কানাডা-ভারত সম্পর্ক আবারো উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। খালিস্তানি উগ্রবাদী নেতা নিজ্জর হত্যায় ভারতের হাত রয়েছে বলে স্বয়ং ট্রুডো অভিযোগ করার পর থেকেই দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। সেটা মেরামত হওয়ার আগেই এই নতুন দফার অভিযোগ পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 


আরো সংবাদ



premium cement