২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল ও কানাডায় নতুনভাবে দাবানলের হুমকি

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল ও কানাডায় নতুনভাবে দাবানলের হুমকি - ছবি : সংগৃহীত

এই সপ্তাহে নিউইয়র্কের স্কাইলাইন এবং ওয়াশিংটন মনুমেন্টে ঘিরে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন করা ছবি দেখে বিশ্বকে দাবানলের বিপদ সম্পর্কে নতুন একটি চিত্র স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যেখানে বহুদূরের লাগা দাবানল নিয়মিতভাবেই আকাশে বিপজ্জনক ধোঁয়াশায় পরিণত হচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কানাডার দাবানলের কারণে তৃতীয় দিনের অস্বাস্থ্যকর বাতাস যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলের লাখ লাখ মানুষের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা হতে পারে তবে এ রকম পরিস্থিতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে (উপকূলে) নিয়মিতভাবে যে বিপর্যস্ত করে সে কথা স্মরণ করিয়ে দেয়- এবং ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি সতর্ক বার্তা।

ডার্টমাউথ কলেজের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ও জলবায়ুবিজ্ঞানী জাস্টিন মানকিন বলেন, ‘এটি এক ধরনের বিস্ময়কর ঘটনা’ তবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাঝে এটি আরো সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটি এমন একটি বিষয় যা দেশের পূর্বাঞ্চলের মানুষ হিসেবে আমাদের বেশ গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করা প্রয়োজন।’

বৃহস্পতিবার লাখ লাখ বাসিন্দা নিজেরাই তা প্রত্যক্ষ করেছেন। এই অবস্থার কারণে হাঁপানি রোগীদের হাসপাতালে পাঠানো হয়, ফ্লাইট বিলম্বিত হয়, বলগেমস স্থগিত করা হয় এবং এমনকি হোয়াইট হাউজের প্রাইড মাস উদযাপনের অনুষ্ঠানও পিছিয়ে দেয়া হয়। দাবানলের ফলে নর্থ ক্যারোলিনা এবং ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে অনেক দূর পর্যন্ত পদার্থের সূক্ষ্মকণা কুণ্ডলী আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘনবসতিপূর্ণ পূর্ব সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় অস্বাস্থ্যকর বা আরো খারাপ বায়ু ছড়িয়ে পড়েছে।

চলতি সপ্তাহে দেশটির সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্থানে বায়ুর গুণগত মান যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার বায়ু-দূষণ স্কেলের প্রায় শীর্ষে পৌঁছেছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা জনগণকে যতটা সম্ভব ঘরে থাকার এবং বাইরে বের হওয়ার সময়মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে এই ধরনের পরিস্থিতি নতুন কিছু নয়, প্রকৃতপক্ষে এই ধরনের অবস্থা ঘন ঘন হচ্ছে। সেখানকার বাসিন্দারা করোনাভাইরাস মহামারীর আগেও মাস্ক পরেছেন এবং এয়ার ফিল্টার কিনেছিলেন এবং গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন বাতাসের গুণমান পরীক্ষা করতে অভ্যস্ত ছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় ১০টি দাবানলের মধ্যে বিশাল আকারের ছিল আটটি এবং ছয়টি সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক দাবানল ছিল।

বাতাসের মান বিপজ্জনক হওয়ায় কখনো কখনো শিশু, বয়স্ক লোকজন এবং হাঁপানি এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একসাথে কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘরের ভিতরে থাকতে বাধ্য করে। কর্মকর্তারা গৃহহীন বা যাদের বাড়ির ভিতরে পরিচ্ছন্ন বাতাস নেই তাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ৩ মামলা তৃণমূল সংগঠনের মজবুতির জন্য কাজ করতে হবে : মাওলানা আব্দুল হালিম ‘দেশ ও জাতি দুঃসময় পার করছে’ ওসমানীনগরে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২ সহ-অধিনায়ক হতে পারেন রিজওয়ান মেক্সিকোয় মেয়র প্রার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহেও ক্লাস বন্ধ ঘোষণা দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ আ’লীগের

সকল