২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পারস্য উপসাগরে চালকবিহীন নৌযান মোতায়েন করবে মার্কিন বাহিনী

পারস্য উপসাগরে চালকবিহীন নৌযান মোতায়েন করবে মার্কিন বাহিনী -

ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও পারস্য উপসাগরে অন্তত ১০০ চালকবিহীন নৌযান মোতায়েন করবে আমেরিকা। মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সেনাবাহিনী বা সেন্টকমের কমান্ডার- জেনারেল মাইকেল কুরিলা শনিবার এ ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এসব নৌযান মোতায়েনের কাজ শেষ হবে।

পারস্য উপসাগরের কৌশলগত পানিসীমায় যেকোনো হুমকি মোকাবেলাকে এসব নৌযান মোতায়েনের উদ্দেশ্য বলে তিনি দাবি করেন।

ইরানের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও দাঙ্গা উস্কে দেয়ার দায়ে ইরান গতমাসে জেনারেল কুরিলার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

মার্কিন এই জেনারেল বলেন, চালকবিহীন নৌযানের পাশাপাশি ‘প্রতিপক্ষের ড্রোনশক্তি’কে মোকাবেলা করার লক্ষ্যে আঞ্চলিক মিত্রদের নিয়ে আমরা একটি পরীক্ষামূলক কর্মসূচি তৈরি করব। তিনি ‘প্রতিপক্ষের ড্রোনশক্তি’ বলতে দৃশ্যত ইরানের ড্রোন শক্তির কথা বুঝিয়েছেন। কারণ এর আগে এক বক্তব্যে জেনারেল কুরিলা ইরানের ড্রোন শক্তিকে ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় কারিগরি হুমকি’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।

এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান শনিবারই এক বক্তব্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, বহিঃশক্তিগুলোর চালকবিহীন যানগুলোর ব্যাপক উপস্থিতি এ অঞ্চলের সমস্যাগুলোকে দ্বিগুণ করেছে। তেহরান সফররত ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ বদর আলবুসাঈদির সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, আমরা বহিঃশক্তিগুলোর সেনা উপস্থিতিকে এ অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য প্রধান হুমকি মনে করি। পারস্য উপসাগর ও ওমান সাগরের পাশাপাশি এ অঞ্চলের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য বিদেশী সেনারা হুমকি সৃষ্টি করছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ বিশ্বাস করে বহিঃশক্তির উপস্থিতি ছাড়াই আঞ্চলিক দেশগুলোই তাদের পানিসীমার নিরাপত্তা রক্ষা করতে সক্ষম।


আরো সংবাদ



premium cement