২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ওপর নির্ভরতা কমাতে সমমনা দেশগুলোর একসাথে কাজ করা উচিত : যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন নয়াদিল্লির উপকণ্ঠে মাইক্রোসফট ইন্ডিয়া ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের বক্তব্য রাখছেন। - ছবি : ভয়েস অফ আমেরিকা

শুক্রবার নয়াদিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর’ ওপর বিশ্বের অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে ‘সমমনা দেশগুলোর’ একসাথে কাজ করা উচিত।

দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদার করার লক্ষ্যে নয়াদিল্লি সফরে তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের মতো বিশ্বস্ত বাণিজ্য অংশীদারদের সাথে সক্রিয়ভাবে অর্থনৈতিক একীকরণ দৃঢ় করছি।’

কোভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য বিঘ্নিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত অর্থনৈতিক ও আর্থিক অংশীদারিত্বের সংক্রান্ত একটি ফোরামে ইয়েলেনের সাথে সহ-সভাপতিত্ব করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, নয়াদিল্লি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার সম্পর্ককে ‘বিশ্বস্ত অংশীদার’ হিসেবে মূল্যায়ন করে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তারা যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর নির্ভর করবে।

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠেছে।

চীনের উত্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের অভিন্ন উদ্বেগ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশ দু’টিকে কাছাকাছি এনেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, উভয়েই ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রতি তাদের ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে নিজেদের মধ্যকার অর্থনৈতিক বা নিরাপত্তা সম্পর্ককে বিপর্যস্ত করতে চায় না।

নয়াদিল্লি স্পষ্টভাবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেনি বা মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করেনি। তারা উল্লেখযোগ্যভাবে ছাড়কৃত মূল্যে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেলের ক্রয় বাড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আশা করছেন না যে, ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল ক্রয় বন্ধ করবে। তবে ভারতে আসার আগে ইয়েলেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন যে, ভারত তার ক্রেতাদেরকে আরো হ্রাসকৃত মূল্য নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দিয়ে এই প্রাইস ক্যাপ থেকে উপকৃত হতে পারে।

সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement