কেক যখন জীবনবৃত্তান্ত!

ভোজ্য জীবনবৃত্তান্ত! শুনে অবাক লাগছে, তাই না? লাগারই কথা। জীবনবৃত্তান্ত, কোথাও আবেদনের প্রথম ধাপ। সে ধাপ খাবারযোগ্য হয় কীভাবে!

মানুষ যে কত বিচিত্র তা প্রমাণ করতেই যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী কেকের ওপর ছেপেছেন নিজের জীবনবৃত্তান্ত।

কিছুদিন আগে চাকরি সম্পর্কিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে কার্লি প্যাভলিনাক ব্ল্যাকবার্ন কিভাবে নাইকিতে চাকরির আবেদন করেছিলেন তা জানিয়ে ছবিসহ পোস্ট করেন। উদ্ভট, কিন্তু ব্যতিক্রমী ধারণার সেই জীবনবৃত্তান্ত দেখতে পায় যোগাযোগমাধ্যমটির ব্যবহারকারীসহ সারা বিশ্ব।

ব্ল্যাকবার্ন লিংকডইনে লিখেছেন, ‘কয়েক সপ্তাহ আগে নাইকিতে কেকের ওপর আমার জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়েছিলাম। হ্যাঁ, ভোজ্য জীবনবৃত্তান্ত। নাইকি জেডিআই (জাস্ট ডু ইট ডে) দিবসের জন্য বড় এক উদযাপনের আয়োজন করে। আমি কিছু গবেষণা করি এবং নাইকির মধ্যে ভ্যালিয়েন্ট ল্যাবস নামে একটি বিভাগ পাই যা নাইকির ধারণাগুলোর জন্য স্টার্টআপ ইনকিউবেটর হিসেবে কাজ করে।’

তিনি বলেন, কোম্পানিটি বর্তমানে কোনো পদের জন্য জনবল নিচ্ছে না। তবুও নিজের সম্পর্কে কোম্পানিটিকে জানানোর উদ্দেশেই তিনি কাজটি করেছেন।

ব্ল্যাকবার্ন বলেন, ‘একটি বড় পার্টিতে কেক পাঠানোর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে! আমি আমার সাবেক সহকর্মী ট্রেন্ট গ্যান্ডারের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। তখন তিনি বলেন, আরো ভালো করতে হবে। এটি একটি সৃজনশীল জায়গা, তাই সৃজনশীল পথ ধরেই এগিয়ে যাও।’

এনডিটিভি উল্লেখ করেছে, ব্ল্যাকবার্ন এমন এক পার্টিতে জীবনবৃত্তান্ত সম্বলিত কেক দেয়ার কথা ভাবতে শুরু করে যেখানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

ব্ল্যাকবার্ন জানান, তিনি উত্তর ক্যারোলিনা থেকে ওরেগনের বেভারটনের সম্পূর্ণ পথ পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন। ঠিক তখনই মার্কিন এই নারী এমন এক দোকানের খোঁজ পান যেখানে কেকের ওপর ছবি ছাপানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এরপর তিনি একজন ডেলিভারি সহযোগীর সাথে যোগাযোগ করেন।

ব্ল্যাকবার্ন ডেলিভারি সহযোগীর সাথে ফোনে কথা বলেন এবং তিনি কেক যেখানে পাঠাতে চায় সেখানে পৌঁছে দিতে রাজি হয়। ব্যাল্ডউইন কেকটি পার্টিতে নিয়ে যান এবং যখন তাকে অভ্যর্থনা ডেস্কে তা রেখে যেতে বলা হয় তখন তিনি বলেন, ‘সরাসরি তাদের হাতে কেকটি পৌঁছাতে হবে। আমি কার্লিকে ওয়াদা করেছি যে কেকটি সঠিক ব্যক্তির কাছে নিয়ে যাব।’

তিনি নাইকি ক্যাম্পাসেও গিয়েছিলেন, তখন এক হাতে একটি ঘুমন্ত শিশু এবং অন্য হাতে একটি চাদরের কেক ছিল।

সূত্র : ইউএনবি