১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় কয়েক মাসে প্রাণহানি দুই শতাধিক

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় কয়েক মাসে প্রাণহানি দুই শতাধিক - ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েই চলেছে বন্দুক হামলার ঘটনা। দেশটির বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য মতে, চলতি বছর সাড়ে পাঁচ মাসেই প্রাণ গেছে দুই শতাধিক মানুষের। আহত হয়েছেন অন্তত এক হাজার। একের পর এক বন্দুক হামলায় উদ্বেগে সাধারণ মানুষ। এ অবস্থায় ব্যক্তিগত অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন সংস্কারের দাবি জানিয়েছে আইনপ্রণেতাসহ বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতা দীর্ঘ দিনের সামাজিক সমস্যা। এর সমাধানে নানাভাবে চেষ্টা করছে দেশটির সরকার। কিন্তু কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। দেশটির বিভিন্ন স্থানে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও বন্দুক হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন ওয়েবসাইট বলছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত অন্তত দুই শতাধিক মানুষ বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন। আহত অন্তত এক হাজার। গত মাসেই মিনেসোটা ও পেনসিলভেনিয়ায় বন্দুক হামলায় অন্তত ৯ জনের প্রাণ গেছে।

বড়দিন ঘিরে বিভিন্ন স্থানে তিনবার বন্দুক হামলা চালানো হয়। এ মাসেই পিটসবার্গে একটি পার্টিতে হামলায় নিহত হন দুই কিশোর। সাউথ ক্যারোলাইনায় একটি ব্যস্ত শপিং মলে বন্দুক হামলায় আহত হন অন্তত ১৪ জন।

গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাংলাদেশী অধ্যুষিত বাফেলো শহরে বন্দুক হামলায় অন্তত ১০ জনের প্রাণ গেছে। এদিন উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে বাস্কেটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষের জেরে গোলাগুলিতে অন্তত ২০ জন আহত হন। এছাড়া লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি বাজারে নিহত হন একজন।

এর আগে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের মিলওয়াকিতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে ২০ জন আহত হন। স্থানীয় একটি বাস্কেটবল খেলার মাঠের কাছে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বাদ পড়ছে না বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। চলতি বছরের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্কুলে এখন পর্যন্ত ১১টি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গত মাসে প্রকাশিত ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) রিপোর্ট মতে, ২০২০ সালে করোনা মহামারীর শুরুর বছরে বন্দুক হামলায় যুক্তরাষ্ট্রে চার হাজার ৩০০ শিশুর মৃত্যু ঘটে। আর সব বয়সী মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ২২২ জন।

রিপোর্টে বলা হয়, আইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সুযোগ অনেকটা অবাধ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ কোটি নাগরিকের হাতেই রয়েছে ৩৯ কোটি আগ্নেয়াস্ত্র। বিভিন্ন সময়ে এসব আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবি উঠলেও অস্ত্র উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের চাপে তাতে কোনো কাজ হয়নি। আর মহামারীর মধ্যে বন্দুক সহিংসতা আরো বেড়ে যায়।

সিডিসির তথ্যানুযায়ী, ২০২০ সালে আগ্নেয়াস্ত্রের কারণে এক থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যু আগের বছরের চেয়ে ৩৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বিগত বছরগুলোতে তরুণ আমেরিকানদের মৃত্যুর প্রধান কারণ ছিল গাড়ি দুর্ঘটনা। এরপরই ছিল বন্দুক হামলা ও গুলিজনিত মৃত্যু।
সূত্র : আজকাল


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল