যুক্তরাষ্ট্রে মোদির সফর, হোয়াইট হাউজের সামনে প্রবাসী ভারতীয়দের বিক্ষোভ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:১৫
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্রে সফরের প্রতিবাদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউজের সামনে লাফাইয়েত স্কয়ার পার্কে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ভারতীয়রা।
বৃহস্পতিবার মোদির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন, মুসলমানসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন, বিতর্কিত কৃষি আইন ও ভারত শাসিত কাশ্মিরে দমন অভিযান চালানোর অভিযোগে বিক্ষোভ করেন অংশগ্রহণকারীরা।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ‘মোদি দূর হও’, ‘ফ্যাসিজম থেকে ভারতকে বাঁচাও’ স্লোগানযুক্ত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার বহন করেন।
২০১৪ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মোদি তার নিজের দেশের সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে আসছেন।
জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের চলমান ৭৬তম অধিবেশন এবং চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারতের চতুর্দলীয় নিরাপত্তা সংলাপের (কোয়াড) রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠকে অংশ নিতে মোদি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন।
শনিবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তার ভাষণ দেয়ার কথা রয়েছে।
অপরদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর জো বাইডেন শুক্রবার প্রথমবারের মতো হোয়াইট হাউজে নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করতে যাচ্ছেন।
বৈঠকে দুই নেতা করোনাভাইরাস মহামারী, জলবায়ু পরিবর্তন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে উন্মুক্ত অবস্থা বজায় রাখা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ভিক্টর বেগ আলজাজিরাকে বলেন, ‘মোদি সম্পূর্ণভাবে মার্কিন মূলবোধের বিরোধী। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে তাকে অনুমতি দেয়া এবং হোয়াইট হাউসে তার সাথে বৈঠক করার অর্থ আমাদের গণতন্ত্রকে দুর্বল করা।’
অপর অংশগ্রহণকারী ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলী বলেন, ‘বর্তমানে আমরা সংখ্যালঘুদের ধীরগতির গণহত্যা প্রত্যক্ষ করছি। ভারতের ২০ কোটি মুসলমানের জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। এই অবস্থায় বাইডেন প্রশাসন চুপ থাকতে পারে না। এই বৈঠকই উপযুক্ত সময় ভারতকে শক্ত বার্তা দেয়ার।’
কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ও জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অর্জুন শেঠি বলেন, মোদির অধীনে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম একচ্ছত্র সরকারের দেশে পরিণত হয়েছে, যেখানে কোনো প্রকার বিরোধিতা ও সমালোচনা দমন করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে কেননা আমরা ভারতের সংখ্যালঘু, দলিত, নারী, কৃষক, মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকদের পক্ষে দাঁড়িয়েছি।’
হিন্দু ধর্মের বর্ণ বিভাগ প্রথায় দলিতরা সমাজের নিম্নস্তরের লোক। ভারতে ‘উচ্চস্তরের’ লোকদের হাতে তারা বিভিন্ন সময়ই নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে।
সূত্র : আলজাজিরা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা