১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীনের সাথে সম্পর্ক : আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ বিক্রিতে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান - ছবি : সংগৃহীত

চীনের সাথে সম্পর্ক থাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রিতে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।

চীনের সামরিক বাহিনীর দুইটি বিমানের আমিরাতের এক বিমানবন্দরে অবতরণ এবং আবুধাবির কাছে অজ্ঞাত সরঞ্জাম সরবরাহ করার বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পর এই উদ্বেগ জানানো হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের আগস্টে করা 'ইবরাহীমি চুক্তি' অনুসারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে সম্মত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি অনুসারে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন ইসরাইলের সাথে স্বাভাবিক কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়। পরে সুদান ও মরক্কো এই চুক্তি স্বাক্ষর করে।

মার্কিন এই উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, তার দেশ দীর্ঘ দিন ধরে মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি সংরক্ষণের নিশ্চয়তার রেকর্ড রয়েছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে করা এই চুক্তি অনুসারে, আমিরাতের কাছে যুদ্ধবিমান বিক্রির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে কবে এই বিমান বিক্রি হবে তা নিয়ে এখনো দু’পক্ষ আলোচনা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন মার্কিন কর্মকর্তা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি বিষয়ে শর্ত আরোপ করে আমিরাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে। দীর্ঘ দিনের মার্কিন নীতি ইসরাইলের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব যেন অক্ষুণ্ণ থাকে আর চীনের কাছে যেন এফ-৩৫ বিমান আর ড্রোনের প্রযুক্তি পাচার না হয়ে যায় তার জন্যে এসব শর্ত আরোপ করা হবে। এছাড়া এই নিষেধাজ্ঞাও থাকবে যে সংযুক্ত আরব আমিরাত এ বিমান প্রযুক্তি ইয়েমেন বা লিবিয়ায় ব্যবহার করতে পারবে না।

তৃতীয় এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে চীনের সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করা হলে এ দেশটির সাথে করা চুক্তিটি বাতিল করা হবে।

মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমেই সেনা প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলের দেশগুলোর সাথে চীনের সম্পর্ক গভীর হচ্ছে। পূর্ব-এশিয়াতে মার্কিন মূল লক্ষ্য প্রতিস্থাপিত হওয়ায় সেনা প্রত্যাহারের ফলে ইসরাইল, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও অন্য উপসাগরীয় দেশসহ আঞ্চলিক ঐতিহ্যবাহী মিত্রদেশগুলো এই অঞ্চলে ইরানের প্রভাব বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে।

চীন অজ্ঞাত সামরিক সরঞ্জাম সরবারহ করা ছাড়াও আমিরাতের সাথে অন্যান্য বিষয়গুলোতেও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপনে কাজ করছে। এক্ষেত্রে বাণিজ্য, বেসামরিক প্রযুক্তি ও আর্থিক খাত গুরত্ব পাচ্ছে।

সূত্র : দ্য জেরুসালেম পোস্ট


আরো সংবাদ



premium cement
পেনাল্টিতে সাফল্য রিয়ালের জয়ের মানসিকতার প্রমাণ কিমিচের একমাত্র গোলে আর্সেনালকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে বায়ার্ন বিরোধী দলকে ভাঙতে ষড়যন্ত্র করছে সরকার : ড. মঈন খান মোস্তাফিজের বিকল্প ভাবছে চেন্নাই, দলে ভিড়িয়েছে এক ইংলিশ পেসার বিদেশ যাওয়া হলো না আশরাফুলের, বাসচাপায় মামাসহ নিহত ‘সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারা’ বিষয়ে নরেন্দ্র মোদির মন্তব্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য : সেনাপ্রধান ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাথে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ১ হাজার টাকার জন্য পেশাদার ছিনতাইকারীরা খুন করে ভ্যানচালক হারুনকে দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় : মতিউর রহমান আকন্দ টানা ১১ জয়ে ডিপিএলের প্রথম পর্ব শেষ করলো আবাহনী

সকল