২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

খাশোগি হত্যা : এমবিএসকে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান

জামাল খাশগজি ও মোহাম্মদ বিন সালমান - ছবি : সংগৃহীত

নির্বাসনে থাকা সৌদি সাংবাদিক ও যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্টের নিবন্ধক জামাল খাশোগির হত্যায় এমবিএস হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সম্পৃক্ত করে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে জোরদার হচ্ছে যুবরাজকে শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান।

শুক্রবার মার্কিন আইনপরিষদ কংগ্রেসে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওই দিনই ৭৬ সৌদি নাগরিকের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ও হাউজ ইন্টিলিজেন্স কমিটির প্রধান অ্যাডাম শিফ শুক্রবার এক টুইট বার্তায় বলেন, বাইডেনের উচিত হবে খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা ব্যক্তিদের পাশাপাশি যে এই হত্যার আদেশ দিয়েছেন, তাকেও শাস্তির আওতায় আনা।

শিফ লিখেন, ‘যুবরাজের হাতে রক্তে রঞ্জিত। একজন আমেরিকান বাসিন্দা ও সাংবাদিকের রক্ত। আমাদের দায়বদ্ধতা থাকা উচিত।’

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সাথে এক সাক্ষাতকারে অ্যাডাম শিফ বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উচিত যুবরাজকে ‘এড়িয়ে চলা।’

কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য ও ফরেন রিলেশন কমিটির প্রধান রবার্ট মেনেন্দেজ জামাল খাশোগি হত্যার গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে ‘যথাযথ প্রথম পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, তিনি আশা করেছিলেন, ‘জঘন্য অপরাধের সংশ্লিষ্টতায়’ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেয়া হবে।

এক বিবৃতিতে মেনেন্দেজ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উচিত মৌলিক মানবাধিকার ও মানবিক মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাবোধসহ মৌলিক নীতিমালার বিষয়ে আমাদের মিত্র ও বিরোধীদের স্পষ্ট সংকেত দেয়া, যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে পরিচালিত করছে।’

অপরদিকে রিপাবলিকান পক্ষের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ও হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য মাইকেল ম্যাককাউল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানসহ ভয়াবহ এই অপরাধের সাথে জড়িত সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা।

এদিকে শুক্রবার মার্কিন টেলিভিশন ইউনিভিশনে এক সাক্ষাতকারে বাইডেন বলেন, তিনি সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের সাথে কথা বলেছেন এবং নিয়মনীতির পরিবর্তনের বিষয়ে স্পষ্ট করেছেন।

বাইডেন বলেন, সোমবার পরিবর্তনের বিষয় প্রকাশ করা হবে।

সৌদি রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ থাকা জামাল খাশোগি সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তার নীতির কড়া সমালোচক ছিলেন। যুবরাজের সমালোচনার জেরে তিনি দেশ ছেড়ে নির্বাসনে ছিলেন।

তুর্কি নাগরিক ও গবেষক খাদিজা চেঙ্গিসকে বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে গেলে ওয়াশিংটন পোস্টের এই নিবন্ধককে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে হত্যা করে লাশ টুকরা টুকরা করা হয়।

সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রথমে হত্যাকাণ্ডের বিষয় অস্বীকার করলেও পরে তারা জানায়, কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় দুর্ঘটনাক্রমে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। ওই সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে বিচারের আওতায় আনা হয়।

সূত্র : এনপিআর


আরো সংবাদ



premium cement