২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা লে. জে. ফ্লিনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প

- সংগৃহীত

আমেরিকার সাবেক লেফটন্যান্ট জেনারেল এবং একদা নিজের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে ক্ষমা করে দিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা এবং সে বিষয়ে এফবিআই এবং ট্রাম্প প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ ছিল ফ্লিনের বিরুদ্ধে। যে কারণে তাকে পদ থেকে সরিয়েও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিদায়বেলায় ফ্লিনের সেই 'দোষ' ক্ষমা করে দিলেন প্রেসিডেন্ট। এরপর তার বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ থাকবে না।

ক্ষমা ঘোষণা করার পরে ট্রাম্প টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফ্লিন এবং তার পরিবারকে। ফ্লিনও টুইট করেছেন বাইবেলের একটি অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে।

ফ্লিনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল নাটকীয়। ডেমোক্র্যাটপন্থী হয়েও ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে সমর্থন করেছিলেন ফ্লিন। ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা এতটাই বেড়েছিল যে, ভোটে জেতার পরের দিনই ফ্লিনের নাম নিজের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক বিষয় ও সামরিক ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের মুখ্য কাউন্সিলর হিসেবে ঘোষণা করেন ট্রাম্প। একাধিক অনুষ্ঠানে সে সময় তাদের এক সঙ্গে দেখা গিয়েছিল।

কিন্তু সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। চেয়ার পাওয়ার মাত্র ২৩ দিনের মাথায় ফ্লিনকে পদ থেকে সরিয়ে দেন ট্রাম্প। অভিযোগ, ওয়াশিংটনে রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ফ্লিন। সেখানে রাশিয়ার উপর জারি করা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা হয়েছে। ফ্লিন সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন সে সময় অভিযোগ করে, ফ্লিন ওই বৈঠকের বিষয়ে মার্কিন প্রশাসন এবং এফবিআই-এর কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।

২০১৭ সালে ফ্লিন দোষ স্বীকার করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যদিও ২০২০ সালের শুরুতে ফ্লিন ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন তুলে নেন। তার সঙ্গে অন্যায় হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ট্রাম্প ক্ষমা করে ফ্লিনের উপর থেকে সমস্ত অভিযোগ তুলে নিলেন।

ফ্লিনের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছেন ডেমোক্র্যাটরা। ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট মামলাতেও সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ, সে ঘটনাতেও ফ্লিনের ভূমিকা ছিল। যদিও এখনো পর্যন্ত সেই মামলায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো তথ্য প্রমাণ মেলেনি।

সাংবিধানিক ভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ক্ষমা করার অধিকার আছে। বারাক ওবামা আট বছরে ২১২ জনকে ক্ষমা করেছিলেন। চার বছরে ট্রাম্প ক্ষমা করেছেন ২৮ জনকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সব চেয়ে কম ক্ষমা করেছেন ট্রাম্প। সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর পাথরঘাটায় বদর দিবস পালনে দেড় হাজার মানুষের ইফতারি আদমদীঘিতে ৭২ হাজার টাকার জাল নোটসহ যুবক গ্রেফতার সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলের জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : মন্ত্রী গাজীপুরে গাঁজার বড় চালানসহ আটক ২ দুই ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেল ২৫০০ তরমুজ ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান

সকল