২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনা এড়াতে ‘স্পেস বাবল’

করোনা এড়াতে ‘স্পেস বাবল’ - ছবি : সংগৃহীত

‘স্পেস বাবল’! হ্যাঁ, করোনাভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে এমন অভিনব পন্থাই বেছে নিয়েছে নিউ ইয়র্কের একটি ক্যাফে। ম্যানহাটনের আপার ওয়েস্ট সাইডের এই ‘কাফে ডু সোলেইল’ করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা পথচলতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেই। কাস্টমারদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে দোকানের সামনের ফুটপাতে বানানো হয়েছে ছোট ছোট প্লাস্টিকের টেন্ট। ঠাণ্ডা পড়ুক বা বৃষ্টি— যেকোনো পরিবেশেই এই টেন্ট অত্যন্ত কার্যকরী। আর দেখতেও লাগে খুব সুন্দর— ঠিক বুদবুদের মতো।

দোকানের মালিক অ্যালেন চেভরেক্স জানিয়েছেন, জুলাই মাসে এই বুদবুদের মতো তাঁবুর বিষয়টি তার মাথায় আসে। এই টেন্টগুলো এক মিনিটের মধ্যে খোলা ও বন্ধ করা যায়। গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসার ঝক্কি নেই। ফলে ক্রেতারা স্বচ্ছন্দে কাফেতে এসে আড্ডা জমাচ্ছেন।

সবমিলিয়ে কাস্টমারদের কাছ থেকে ভালোই সাড়া পাচ্ছেন চেভরেক্স। যেমন, দুই সহকর্মীর সঙ্গে এখানে খেতে এসেছিলেন ভ্যালেরি ওয়ারদি। তিনি জানিয়েছেন, ‘এই কাফের বুদবুদাকৃতি টেন্টগুলো শুধু পরিষ্কার ও নিরাপদই নয়। ছ’ফুটের দুরত্ববিধি রক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে। আমার তো এই ব্যবস্থা দারুণ লেগেছে।’

চেভরেক্স বলেন, ২০টি আসন ভরলেই কাফের শেফ, রাঁধুনি এবং অন্য কর্মীদের মাইনের খরচ উঠে আসছে। এই কাফেতে মোট ১৫টি ‘বাবল’ রয়েছে। প্রতিটি বাবলে ছ’জনের বসার ব্যবস্থা। খরচ পড়ে ৪০০ ডলার।

এই অভিনব উদ্যোগের কথা ছড়িয়ে পড়তেই অনলাইনে আসন সংরক্ষণের জন্য রীতিমত হুড়োহুড়ি লেগে পড়ে গেছে। ব্যবসা কীভাবে করতে হয়, তা নাকি সবাইকে চোখে আঙুল দিয়েছেন চেভরেক্স। তাই, এই ‘স্পেস বাবল’-এর কথা ছড়িয়ে পড়েছে মুখে মুখে। চেভরেক্স জানিয়েছেন, ‘যেকোনো পরিবারই এই টেন্টকে পছন্দ করছে। শিশুরাও এখানে এসে বেশ মজা পাচ্ছে। আর বন্ধুদের ‘গেট টুগেদার’-এর জন্য এই ধরনের টেন্ট বেশ সমাদর পাচ্ছে। যেমন, সপ্তাহ দু’য়েক আগে খুব বৃষ্টি পড়ছিল। কিন্তু, এই ‘বাবল’-এর ভিতরে বসে কাস্টমার সেই পরিবেশ দারুণ উপভোগ করেছেন।’

সূত্র : বর্তমান

 


আরো সংবাদ



premium cement