২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কাল প্রথম মুখোমুখি : ট্রাম্প-বাইডেনের লড়াইয়ে নজর বিশ্বের

ট্রাম্প-বাইডেন - ছবি : সংগৃহীত

রাত পোহালেই মুখোমুখি দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। ডোনাল্ড ট্রাম্প-জো বাইডেন। এক মঞ্চে। প্রথমবার। যা ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে হাইপ। শুধু আমেরিকা নয়, বিশ্বের লক্ষ লক্ষ জোড়া চোখের নজর থাকবে প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে। ব্যক্তিগত হোক বা কর্মজীবন—ট্রাম্প ও বাইডেন দু’জনে দুই মেরুর বাসিন্দা। তাদের মানসিকতাও আলাদা। সেই কারণে এই বিতর্ক জো বাইডেনের জন্য খুব সহজ হবে না বলে মনে করছেন এলি অ্যাটি। ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আল গোরের নির্বাচনী বক্তব্য-লেখকের মতে, ‘ট্রাম্প এমন একজন ব্যক্তি, যিনি কোনো নিয়ম মেনে চলেন না। নিয়ম মেনে চলার যদি কোনো বই থাকে, ট্রাম্প প্রথমেই সেই বইটা জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন। উল্টা দিকে বিডেন সম্পূর্ণ অন্যধারার মানুষ। যিনি ওই নিয়মের বই লেখার জন্য গোটা জীবন ব্যয় করেছেন।’

বুধবার ওহাইওর ক্লেভল্যান্ডে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথমদফার বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্ট, কোভিড-১৯, অর্থনীতি, বিভিন্ন শহরে জাতিগত সহিংসতার মতো ছ’টি বিষয়ে বিতর্কে অংশ নেবেন ট্রাম্প ও বাইডেন। ৯০ মিনিটের এই বিতর্ক দুই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যাপক মিশেল ম্যাকেনির মতে, এই বিতর্কে প্রার্থীরা কোনো ধরনের নোট বা টেলি প্রম্পটার ছাড়া হাজির হন। তারা পরস্পরের বা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কী উত্তর দিচ্ছেন, তা দেখতে পারেন ভোটাররা। স্পষ্ট হয়ে ওঠে প্রার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি। করোনার জন্য বহু জায়গায় পোস্টাল ব্যালটে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ট্রাম্প-বাইডেনের এই বিতর্কের প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে। ভোটারদের কাছে টানতে এই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ দু’জনেই।

এদিকে, প্রথম বিতর্কে বাইডেনের মুখোমুখি হওয়ার আগেই আয়কর সংক্রান্ত জটিলতায় জড়িয়ে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যা নিয়ে শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ব্যবসায় লোকসানের দোহাই দিয়ে লাগাতার আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই বছর মাত্র ৭৫০ ডলার কর দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালেও করের অঙ্ক ছিল একই। অথচ ২০১৭ সালে ট্রাম্প বা তার সংস্থা ভারতে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার কর দিয়েছে।

ওই রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর ট্রাম্প কোনো আয়করই জমা দেননি। প্রতি বছরই ট্রাম্প দাবি করেছেন, ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। যদিও গোটা বিষয়টিকে ‘ভুয়ো খবর’ বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। সংবাদ সম্মেলনে তার দাবি, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে খবর। আগেও এই ধরনের খবর হয়েছে। আমি কর দিই। আমার ট্যাক্স রিটার্নের অডিট হচ্ছে। শীঘ্রই আপনারা তা দেখতে পাবেন।’ শুধু তাই নয়, ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, বাইডেনের ছেলে হান্টার রাশিয়া ও চীনের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা পেয়েছেন।

প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের এক দিন আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এমন খবর প্রকাশ্যে আসায় উৎফুল্ল ডেমোক্র্যাট শিবির। কর-বিতর্কে ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছেন হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। সব মিলিয়ে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের আগেই মার্কিন রাজনীতিতে শুরু হয়েছে এক নয়া বিতর্ক।

সূত্র : বর্তমান


আরো সংবাদ



premium cement