১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পড়াশোনা বা মার্কিন ভিসা হারানোর ভীতিতে বিদেশি শিক্ষার্থীরা

- সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করা নতুন অভিবাসন নীতির কারণে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছে বিদেশি শিক্ষার্থীরা। করোনাভাইরাস মহামারিতে তারা ভিসার পাশাপাশি পড়াশোনা করার সুযোগও হারাতে পারেন।

ভারত, চীন ও ব্রাজিলের শিক্ষার্থীরা বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের কলেজগুলোকে জানিয়েছে যে বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেশটি ছাড়তে হবে। যা তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় বড় ধরনের ধাক্কা বলে মনে করছেন। তারা দেশ না ছাড়লে কলেজগুলোকে তাদেরকে সম্পূর্ণ অনলাইনে পড়াশোনা করাচ্ছে এমন অন্য কলেজে তাদেরকে স্থানান্তর করাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

কিছু কিছু শিক্ষার্থী বলেছিল যে তারা নিজ দেশ বা কাছের দেশ কানাডায় স্থান্তারিত হয়ে যাওয়ার কথাও ভাবছেন।

বোজেম্যানের মন্টানা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্সে পড়ুয়া তুরস্কের এক পিএইচডি শিক্ষার্থী বাথুহান মেকিকার বলেছেন, ‘আমি গবেষণার কাজ করছি, দুর্দান্ত অর্থনীতি নিয়ে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি যদি তুরস্কে ফিরে যাই তবে আমার কাজটা করা হবে না। আমি এমন কোনো জায়গায় কাজটি করতে চাই যেখানে আমার কাজের মূল্যায়ন হয়েছে।’

সিয়াটলের এক শিক্ষার্থী ম্যাথিয়াস, অভিবাসনের মর্যাদা হারানোর ভয়ে নিজের শেষ নামটি ব্যবহার না করার শর্তে বলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে তার বিড়াল লুইকে সাথে করে তার নিজ দেশ প্যারিসে ফেরার অনুমতির জন্য তিনি তার নিজের গাড়ি বিক্রি করে দেয়া ও তার জমানো টাকা তুলে নেয়ার কথা ভাবছেন।

‘সবাই খুব চিন্তিত। এখানে আমাদের পুরো জীবন পড়ে আছে,’ যোগ করেন তিনি।

অনেক আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় আছে যারা প্রায় ১০ লাখেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নেয়া উচ্চ টিউশন ফি’র উপর নির্ভর করে চলে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, স্কুল এবং কলেজগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যক্তিগত নির্দেশনায় ফিরে আসুক এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাদের কার্যক্রম পুনরায় চালু করার নির্দেশিকা জারি করার অভিযোগ করেছে।

ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক কারণে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এ সপ্তাহে এ সিদ্ধান্ত আটকাতে মামলা দায়ের করেছে।

নির্দেশনা জারির দিনেই হার্ভার্ড ঘোষণা করেছিল তারা স্নাতক শ্রেণির সব পড়াশোনা অনলাইনে রাখবে এবং আরও বেশ কয়েকটি স্নাতক স্কুল বলেছিল তারাও তাই করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি জানিয়েছে, এ নির্দেশনাটি তাদের পাঁচ হাজারের মতো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর অনেকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সুযোগ হবে।

ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া তাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে বলেছে যে তারা এ সিদ্ধান্তে গভীরভাবে ব্যথিত।

এ সিদ্ধান্তের ফলে অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও এতে বলা হয়েছে। ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement