১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চীনের বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

চীনের বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের - ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র-চীন ঠান্ডা যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই। বরং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধের উত্তাপ আরো বাড়তে চলেছে। বেজিংকে এমন হুঁশিয়ারিই দিয়ে রাখল ওয়াশিংটন। বুধবার হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব কেইলি ম্যাকইন্যানি বলেন, ‘চীনের বিরুদ্ধে আরো কিছু পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র।’

যদিও কী সেই পদক্ষেপ তা খোলসা করেননি তিনি। প্রেস সচিব শুধু জানান, ‘আমরা চিনের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করতে চলেছি তা প্রেসিডেন্টের আগে আমি ঘোষণা করব না। কিন্তু আপনারা কয়েকদিনের মধ্যেই চীনের বিরুদ্ধে নেওয়া কিছু ব্যবস্থার কথা জানতে পারবেন। এ ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন।’

চীনের বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপেদেষ্টা রবার্ট ও‘ব্রায়েনও। তার দাবি, চীনের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন, এর আগে অন্য কোনো প্রেসিডেন্ট তা করেননি। ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চীনের উপর বিশাল শুল্ক চাপিয়েছেন।’

ওভাল অফিসে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই চীনের একতরফা বাণিজ্য ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরোধিতায় সরব যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি চীনা পণ্যের উপর চড়া আমদানি শুল্ক বসিয়ে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন। বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণের জন্য সরাসরি চীনকে দায়ী করেছেন। এমনকি চীনের বিরোধিতা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্যপদও ছেড়েছেন। তবে সম্প্রতি লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত-চীন উত্তেজনার সময় থেকে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে রুখে দাঁড়িয়েছে ওয়াশিংটন। গলওয়ানে আগ্রাসনের জন্য বেজিংকেই সরাসরি দায়ী করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পোও বলেছেন, ‘চীনকে রুখতে ভারত নিজের সর্বস্ব দিয়েছে।’

ওয়াশিংটনের কঠোর মনোভাবের আঁচ পেয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ গলানোর চেষ্টা শুরু করেছে বেজিং। বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ‘চীনের মার্কিন নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা এখনও চীন-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতি চাই। কিছু মার্কিন বন্ধু হয়তো চীনের অগ্রগতি দেখে উদ্বিগ্ন। তাই আমি বলতে চাই যে চীন কখনও যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করতে বা বিশ্বমঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের জায়গা দখল করতে চায়নি। আমরা শুধুই আমাদের দেশবাসীর উন্নতি নিয়ে আগ্রহী।’

চলতি বছর নভেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে করোনা, বেহাল অর্থনীতি ও বর্ণ বৈষম্যের অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের গদি টলমল। হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ফিরতে পারবেন কিনা সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ঘরোয়া রাজনীতির চাপ সামলাতে চীনকে আক্রমণের নীতিকেই পাখির চোখ করেছেন ট্রাম্প। তাই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বেজিং-ওয়াশিংটন ঠান্ডা যুদ্ধের পারদ চড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।


আরো সংবাদ



premium cement