১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিক্ষোভের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গান্ধীর মূর্তি ধ্বংস

বিক্ষোভের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে গান্ধীর মূর্তি ধ্বংস - সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ধ্বংস করা হলো ভারতের জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ (মহাত্মা) গান্ধীর মূর্তি। আমেরিকার ওয়াশিংটনে বিক্ষোভ চলাকলীন মধ্যরাতে ঘটেছে এই ঘটনা। ভারতীয় দূতবাসের সামনে স্থাপন করা ছিল সেই মূর্তি।

গোটা আমেরিকা এখন ফুঁসছে। কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিনি জর্জ ফ্লয়েডের গলায় টানা আট মিনিট ধরে হাঁটু চেপে বসে তাকে মেরে ফেলে এক শ্বেতাঙ্গ অফিসার। জর্জ বারবার অফিসারকে অনুরোধ করছিলেন যে তিনি শ্বাস নিতে পারছেন না। কিন্তু জর্জ নেতিয়ে না পড়া পর্যন্ত হাঁটু ওঠাননি অফিসার। এক পথচারীর রেকর্ড করা ওই ভিডিও ফুটেজ আপলোড হতেই তা ভাইরাল হয়। তারপরই আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গদের বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগে পথে নামেন লক্ষ মানুষ। উত্তাল আকার নেয় সেই আন্দোলন। করোনার বাধা মানতে রাজি নয় কেউ।

কিন্তু এরই মাঝে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন ব্যক্তি এসে ভেঙে দিয়ে যান ওয়াশিংটনে ডিসির ভারতীয় দূতাবাসের সামনের মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিটিকে। দ্য ইউনাইটেড স্টেটস পার্ক পুলিশ এব্যাপারে খতিয়ে দেখছে। আপাতত একটি সাদা কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে মূর্তিটিকে।

রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টর জানান, ‘‌মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভেঙে যাওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার ঘটনায় আমি হতভম্ব। একইসঙ্গে মর্মাহত তারপরের এই হিংস্রতা এবং ভাঙচুর দেখে। কোনো রকমের বিভেদ ও কুসংস্কারের বিরোধিতা করছি। যত দ্রুত সম্ভব, আমরা সুস্থ হয়ে উঠব এবং আগের চাইতেও ভালো হব বলে আশা রাখছি।’‌

২০০০ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আটল বিহারি বাজপেয়ী সেদেশে গিয়েছিলেন। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনকে তিনি এই মূর্তিটি উৎসর্গ করেছিলেন।

সূত্র : আজকাল


আরো সংবাদ



premium cement