২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

‘বরিস হঠাও’ আন্দোলন তুঙ্গে : নির্বাচনের দিকেই কি হাঁটছে ব্রিটেন?

‘বরিস হঠাও’ আন্দোলন তুঙ্গে : চব্বিশ ঘণ্টায় ৪০ মন্ত্রীর পদত্যাগ - ছবি : সংগৃহীত

ব্রিটিশ রাজনীতিতে এখন তুঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনবিরোধী আন্দোলন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় পদত্যাগ করেছেন বরিসের মন্ত্রিসভার চল্লিশ জন মন্ত্রী। দলের ভেতরে এমন বিদ্রোহের জেরে সরকার বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন জনসন। এ প্রবল ধাক্কা সামলে নিতে পারবেন কিনা বরিস, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। সবকিছু ছাপিয়ে প্রশ্ন উঠছে, এবার কি নির্বাচনের পথে হাঁটছে ব্রিটেন?

সম্প্রতি ক্রিস পিনচার ইস্যুতে দলের ভেতরেই নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বরিস। পরিস্থিতি জটিল করে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ও অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তারপর থেকে যেন পদত্যাগের হিড়িক পড়ে গিয়েছে বরিসের মন্ত্রিসভায়। এ পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন চল্লিশ জন মন্ত্রী।

এ অবস্থায় ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, এই অবস্থা চললে সরকার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে তার পক্ষে। ফলে সাধারণ নির্বাচন ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

এদিকে, কিছুতেই প্রধানমন্ত্রী পদ ছাড়তে রাজি নন বরিস জনসন। বুধবার পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে তাকে যে তীব্র প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হতে হয়, সেখানে তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনে জনগণ তাকে বিপুল সমর্থন দিয়েছে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যেতে চান। মধ্যবর্তী নির্বাচনের বিষয়ও নাকচ করে দেন তিনি।

বলে রাখা ভাল, মাত্র মাসখানেক আগেই করোনাবিধি লঙ্ঘনকে কেন্দ্র করে বরিস জনসনের নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। তবে দলের পার্লামেন্টারি পার্টির ভোটাভুটিতে তিনি সে যাত্রায় টিকে যান। কিন্তু এবার যেভাবে একের পর এক পদত্যাগ শুরু হয়েছে, তাতে দলের অনেককেই দেখা যাচ্ছে তার প্রতি আনুগত্য পরিহার করতে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হন বরিস জনসন। কিন্তু গত দু’বছর ধরেই তিনি একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে দলের মধ্যে অনেকের আস্থা হারিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বড় ধাক্কা তিনি খেয়েছেন ক্রিস পিনচার ইস্যুতে।

২০১৯ সালে ক্রিস পিনচার নামে এক বর্ষীয়ান রাজনীতিককে মন্ত্রিসভায় এনেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারিসহ একাধিক অভিযোগ ছিল সেসময়। এমন একজনকে কেন প্রশাসনে আনা হলো, তার জবাবে জনসন কার্যত দায়সারাভাবেই জানিয়েছিলেন যে, পিনচার সম্পর্কে এসব তথ্য তার কাছে ছিল না। কিন্তু পরে সরকারি এক মুখপাত্রই জানান যে, প্রধানমন্ত্রী যা বলছেন, তা অসত্য।

এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই ঋষি সুনাক এবং সাজিদ জাভিদ প্রকাশ্যে মত প্রকাশ করেন যে, পিনচার ইস্যুতে সঠিক ভূমিকা পালন করেনি জনসন সরকার।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement