২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

করোনাবিধির লঙ্ঘন করে পার্টি, ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন জনসন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী-বরিস জনসন
করোনাবিধির লঙ্ঘন করে পার্টি, ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন জনসন - ছবি : সংগৃহীত

মন্ত্রী, কর্মকর্তাদের করোনা বিধি লঙ্ঘনের জেরে গত বছরই বরিস জনসনের ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছিল। বড়দিনের সেই পার্টির ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর ক্ষমা চাইলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সেইসাথে ক্যাবিনেট সচিব সাইমন কেসকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, নিজের অবস্থানে অনড় থেকে জনসন বলেছেন, লকডাউন বিধি লঙ্ঘন করে কোনো পার্টি হয়নি।

বিতর্কের সূত্রপাত গত মঙ্গলবার রাতে। ডাউনিং স্ট্রিটের অফিসের অন্দরে ক্রিসমাস পার্টির একটি ভিডিও সম্প্রচার করে আইটিভি। আর তাতেই দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে গেছে। ব্রিটিশ মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে যখন ইনডোর পার্টি পর্যন্ত নিষিদ্ধ, তখন গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর পিএমও’র কর্মীরা বড়দিন পালনে মেতে ওঠেন। মদ থেকে চিজ, উপহার সামগ্রী থেকে গেমস কী ছিল না তাতে। ওই ভিডিওতে তৎকালীন প্রেস সচিব অ্যালেগ্রা স্ট্রাটনকে অবৈধ পার্টি নিয়ে মজা করতেও দেখা গেছে। এরপরেই সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অভিযোগ, করোনা রোধে দেশবাসীর জন্য বিধিনিষেধ জারি হলেও, নিয়ম তৈরির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারাই তা মানছেন না।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই সেই রিপোর্ট খণ্ডন করতে ময়দানে নেমে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। পাল্টা সরকারকে একহাত নিয়ে লেবার পার্টির বিরোধী দলনেতা কিয়ের স্টার্মার দাবি করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে এবং ক্ষমা চাইতে হবে।’ তার কথায়, ‘পরিবার, আত্মীয়দের থেকে আলাদা করে দিলেও দেশবাসী লকডাউন বিধি মেনেছেন। অনেকে তাদের পরিজনদের শেষ বিদায় পর্যন্ত জানাতে পারেননি।’

এই অবস্থায় বুধবার হাউস অব কমনস-এ সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে শুরুতেই ক্রিসমাস পার্টির ভিডিও নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। জনসন বলেন, ‘আমিও রেগে গিয়েছিলাম। এই ঘটনা, যা দেশের দুর্নাম করেছে, তার জন্য কোনোরকম রাখঢাক না রেখে আমি ক্ষমা চাইছি। তবে আমি আবারো আশ্বস্ত করছি, অভিযোগ উঠলেও কোভিড বিধি ভেঙে কোনোরকম পার্টি হয়নি। ক্যাবিনেট সচিবকে আসল তথ্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নিয়ম লঙ্ঘনের কোনোরকম প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

এর আগেও জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে কোভিড বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর দেশজুড়ে জারি থাকা বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন জনসনের অন্যতম আস্থাভাজন ডোমিনিক কামিনস। এবং তা এমন এক সময় যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং কোভিড আক্রান্ত। তারপরেই চাপে পড়ে ডোমিনিককে বহিষ্কার করেন জনসন।

সূত্র : বর্তমান


আরো সংবাদ



premium cement

সকল