২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রানি এলিজাবেথের পায়ের তলায় মেগান, জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে তুলনা ‘শার্লে এবদো’র কার্টুনে

রানি এলিজাবেথের পায়ের তলায় মেগান, জর্জ ফ্লয়েডের সঙ্গে তুলনা ‘শার্লে এবদো’র কার্টুনে - ছবি : সংগৃহীত

আই কান্ট ব্রিদ। গত বছরের মে মাসে আমেরিকার মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনা সমগ্র বিশ্বে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। তার শেষ কথাগুলোকে সামনে রেখে শুরু হয় ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন। এবার ওপরা উইনফ্রের শোয়ে মেগান মার্কেলের বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পর ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে সেই ঘটনাকেই সামনে আনল ফরাসি ম্যাগাজিন শার্লে এবদো। কার্টুনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে পুলিসের সঙ্গে তুলনা করে মেগানকে ফ্লয়েড হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কার্টুনের হেডিং করা হয়েছে, ‘কেন মেগান বাকিংহাম ছাড়লেন?’ রানির হাঁটুর নিচে পিষ্ট মেগান বলছেন, ‘কারণ আমি আর শ্বাস নিতে পারছিলাম না।’

শার্লে এবদোর ওই ছবিতে এটাই বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে যে রাজপরিবারে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল মেগানের। আর ওই কারণেই পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দিতে বাধ্য হন তারা। ওপরা উইনপ্রেল সাক্ষাৎকারে রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ তুলেছিলেন মেগান মার্কেল। যেহেতু তিনি নিজে শ্বেতাঙ্গ নন, তাই তার সন্তানের গায়ের রঙ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলত রাজপরিবারের অন্দরে। মায়ের কারণেই বাচ্চার গায়ের রঙ ফর্সা হবে না বলে আলোচনা হতো। এই ঘটনায় তিনি এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে একসময় আত্মঘাতী হওয়ার ভাবনাও আসে মেগানের মাথায়।

বিস্ফোরক ওই সাক্ষাৎকারেরর মূল বিষয় বর্ণবিদ্বেষ এবার তুলে ধরল শার্লে এবদো। আর এজন্য তারা বেছে নিয়েছে আমেরিকায় জর্জ প্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনা। দু’টি বিষয়কে কার্যত একই আঙ্গিকে দেখানো হয়েছে। বোঝানো হয়েছে, বর্ণবিদ্বেষী রাজপরিবারে শ্বাস নিতে পারছিলেন না মেগান। ‘শার্লে এবদো’র ওই কার্টুন নিয়ে ইতিমধ্যেই নেটিজেনরা আলোচনা শুরু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক ইউজারই ওই কার্টুনকে অসম্মানজনক বলে চিহ্নিত করেছেন। বর্ণবৈষম্য নিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজে যুক্ত ব্রিটেনের এক সংস্থা জানিয়েছে, ‘ওই প্রচ্ছদ সব স্তর থেকেই অত্যন্ত নক্ক্যরজনক।’ রানিমেড ট্রাস্টের সিইও ডঃ হালিমা বেগম বলেন, ‘এই ধরনের প্রচ্ছদে কোনওভাবেই বণ্যবৈষম্য বন্ধ হবে না। এই ব্যঙ্গচিত্রে কারো হাসিও পাবে না। বরং প্রকৃত কারণ এবং বিষয়কে এই কার্টুন আরো বেশি অসম্মানিত করেছে।’

এদিকে, সম্প্রতি রাজপরিবারের দুই স্টাফ তৎকালীন ডাচেস অব সাসেক্স মেগানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছিলেন, তার তদন্তভার তৃতীয় একটি সংস্থার হাতে তুলে দেয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। একটি ব্রিটিশ সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে ওই ঘটনার তদন্তভার ব্রিটিশ রাজপরিবারই করবে বলে ঠিক ছিল। মেগান-হ্যারির বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের একদিন আগেই ওই তদন্তের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।

সূত্র : বর্তমান


আরো সংবাদ



premium cement

সকল