২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনায় আক্রান্ত রানীর ঘনিষ্ঠ কর্মচারী : আতঙ্কে রাজপরিবার

করোনায় আক্রান্ত রানীর ঘনিষ্ঠ কর্মচারী : আতঙ্কে রাজপরিবার
করোনায় আক্রান্ত রানীর ঘনিষ্ঠ কর্মচারী : আতঙ্কে রাজপরিবার - সংগৃহীত

ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সার্বক্ষণিক সাহায্যকারী এক কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে রানীও করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছে বাকিংহাম প্রাসাদ। আর এ ঘটনায় রাজপরিবার ও ব্রিটেনের সরকার আতঙ্কিত। দ্যা সান পত্রিকার সূত্রে এ খবর জানা যায়।

রাজপরিবার সূত্রে জানা যায়, যে রাজকর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তিনি রানীর কুকুরকে হাঁটানো ও রানীকে খাওয়ানোর দায়িত্ব পালন করতেন। একইসাথে তিনি রানীর সাথে নতুন অতিথিদের পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং রানীর কাছে আসা চিঠিপত্রের বিষয় রানীকে জানানো ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ অন্যান্য কাজ করতেন। এ কারণে তাকে রানীর অনেক ঘনিষ্ঠ থাকতে হতো। এ কারনেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হলে অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়ে রাজপরিবার।

এ বিষয়ে রাজপরিবারের একজন সদস্য জানান, রাজপ্রাসাদের আমরা সবাই করোনায় আতঙ্কিত। তবে আমাদের চেয়ে আমরা বেশি ভীত রানী ও তার স্বামীকে নিয়ে। তিনি জানান, রাজপ্রাসাদের সব সদস্য ও কর্মচারীকে এখনই করোনা পরীক্ষা করা দরকার। আমি নিশ্চিত তাদের মধ্যে কারো না কারো করোনা পজিটিভ হবে। প্রিন্স চার্লসের পর ওই রাজকর্মচারী আক্রান্ত হলো। এতে প্রতীয়মান হয় রাজপ্রাসাদের বাতাসে করোনার জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরো জানান, সমগ্র পরিস্থিতি এখন অজানা আতঙ্ক আর ভয়াবহ। রাজপরিবারের সবাই এখন উদগ্রীব, পরবর্তী কে করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। কী হতে পারে পরবর্তী পরিস্থিতি।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেল্ফ আইসোলেশনে গেছেন ওই কর্মচারী। বেশ কয়েক বছর তিনি রাজপরিবারে কাজ করছেন। তবে ছয় মাস আগে তিনি প্রমোশন পেয়ে রানীর ঘনিষ্ঠ কাজ করার দায়িত্ব পান। করোনা পজিটিভ হওয়ার পর ওই কর্মচারীকে কখন বাসায় সেল্ফ আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে তা কেউ জানে না। তবে জানা গেছে রানী এখনো ভালো আছেন। রানী ও তার স্বামী বর্তমানে উইন্ডসর ক্যাসেলে তাদের এপার্টমেন্টে অল্প কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারীদের তত্ত্বাবধানে আছেন। রাজকর্মচারীরা সাধারণত বাকিংহাম প্রাসাদ, উইন্ডসর ক্যাসেল ও স্কটল্যান্ডের সান্দ্রিংহাম প্রাসাদ থেকে কাজ করেন। তবে বর্তমানে নিরাপত্তার খাতিরে তারা নিজেদের বাসা থেকেই কাজ করছেন।

রাজপরিবারের আরেক সূত্রে জানা যায়, এমন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যদি রানী মারা যায় তার জন্য কী করা হবে তার চিন্তার সৃষ্টি হয়েছে সরকারের মধ্যে।
ওই সূত্র জানায়, কী হতে পারে সামনের দিনগুলোতে, কত দিন এই পরিস্থিতি চলতে পারে ও রানী মারা গেলে কী হবে এমন অজানা আতঙ্কে আছে রাজপরিবারের সদস্যরা। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে লকডাউন আগামী এক বছর পর্যন্ত চলতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement