২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চিকিৎসার নামে নারীর গোপনাঙ্গে হাত দিতেন ভারতীয় এই চিকিৎসক

- ছবি : সংগৃহীত

হতে পারে দুরারোগ্য ব্যাধি। তাই প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করতে হবে স্তন ও গোপনাঙ্গ। এমনই পরামর্শ দিতেন চিকিৎসক। উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা হত অ্যাঞ্জেলিনা জোলির নাম। ক্যান্সার থেকে বাঁচতে তিনি নিজের স্তন বাদ দিয়েছিলেন। সে মতো অন্য মহিলাদের ক্যান্সারের কোনও আশঙ্কা রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করতেই তাদের স্তন, গোপনাঙ্গে হাত দিতেন চিকিৎসক। ঘটনা লন্ডনের।

লন্ডনের মতো উন্নত দেশেও চিকিৎসার নামে মহিলাদের গোপনাঙ্গে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় বংশোদ্ভুত সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। চিকিৎসকের নাম মণীষ শাহ। তার বিরুদ্ধে প্রায় ২৫ জন মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই নিয়েই ডঃ মণীশের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে।

হয়রানির শিকার মহিলাদের পক্ষের আইনজীবী জানান, একপ্রকার জোর করে মহিলা রোগীদের স্তন ও গোপনাঙ্গ পরীক্ষা করতেন ডঃ মণীশ। তিনি ক্যান্সারের ভয় দেখাতেন।

নির্দিষ্ট বয়সের পর মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তবে শুধু ক্যান্সারই নয়। আরও কিছু স্ত্রীরোগ রয়েছে যা ক্যান্সারের থেকেও ভয়ানক। যার জন্য নিয়মিত স্তন ও গোপনাঙ্গ পরীক্ষা করা উচিৎ বলেই পরামর্শ ছিল চিকিৎসকের।

তিনি নিজেই তাদের স্তন ও গোপনাঙ্গ ছুঁয়ে দেখতেন। অনেক সময় আবার পায়ুদ্বারও পরীক্ষা করা হত। এভাবে নিজের বিকৃতকামনা চরিতার্থ করতেন ডঃ মণীষ। এমনই অভিযোগ এনেছেন মহিলারা।

২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত চলেছে এই জঘন্য কাজ। পুর্ব লন্ডনের মাওনেই মেডিক্যাল সেন্টারে ৫০ বছর বয়সী এই চিকিৎসকের লালসার শিকার হয়েছেন বিভিন্ন বয়সী মহিলারা। এমনকি ১১ বছরের কিশোরীও বাদ যায়নি এই চিকিৎসকের অত্যাচার থেকে।

নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই চিকিৎসক। শুধু যৌন নির্যাতন নয়, নিজের রোগীদের আলিঙ্গন করা বা চুমুও খেতেন তিনি। এই ধরণের অভব্য ব্যবহারের জন্য হাসপাতাল ২০১৩-এ হাসপাতাল থেকে থেকে নির্বাসিত হয় ডঃ মণীষ শাহ। নিউজ১৮।


আরো সংবাদ



premium cement