২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প : এতিমদের অভিভাকত্ব গ্রহণের পদ্ধতি বাতলে দিলেন এই ইসলামী স্কলার

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প : এতিমদের অভিভাকত্ব গ্রহণের পদ্ধতি বাতলে দিলেন এই ইসলামী স্কলার - ছবি : সংগৃহীত

তুরস্ক-সিরিয়ায় ঘটে গেছে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প। এতে অনেকেই হারিয়েছে আপন স্বজন। বাবারা সন্তান হারিয়েছেন। শিশুরা হারিয়েছে আপন অভিভাবক। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, স্বজনহারা এ শিশুদের অভিভাবকত্ব কিভাবে গ্রহণ করা হবে?

এর একটি উপায় ছিল দত্তক রাখা। কিন্তু ইসলামে দত্তক রাখার অনুমতি নেই। তবে এর সমাধান কী হতে পারে?

এ ব্যাপারে আল জাজিরা মুবাশিরের সাথে কথা বলেছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস-এর সেক্রেটারি জেনারেল ড. আলি কারা দাগী।

ড. আলি কারা দাগী বলেন, ‘যাদের বয়স এখনো দু’বছর বা আরো কম, ইসলাম তাদের পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণে উৎসাহিত করে।

দায়িত্ব নেয়ার ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, দায়িত্ব নেয়ার অর্থ কেবল ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেয়া নয়। বরং এর পাশাপাশি শিক্ষা ও দীক্ষারও দায়িত্ব নিতে হবে। এভাবে তার প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত যাবতীয় সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে যার বয়স দু’বছরের কম, অভিভাবকত্ব গ্রহণকারী তাকে নিজ স্ত্রীর দুগ্ধ পান করাতে পারেন। এতে ওই শিশুর জন্য পরিবারের সবাই মাহরাম হয়ে যাবে।

কোনো অভিভাবকত্ব গ্রহণকারীর স্ত্রী যদি স্তন্য দানকারী না হন, তবে কৃত্রিম উপায় অবলম্বন করে তিনি স্তনে দুধ সঞ্চার করতে পারেন। এরপর তিনি ওই শিশুকে দুগ্ধ পান করাবেন।

স্বজনহারা ওই শিশুর ভবিষ্যতের ব্যাপারে কুরা দাগী পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘তার ভবিষ্যতের জন্য অভিভাবকত্ব গ্রহণকারী নিজ সম্পদের এক তৃতীয়াংশ ওসিয়ত করে যেতে পারেন।’

এভাবে যদি এতিমের দায়িত্ব গ্রহণ করা যায়, তবে স্বজনহারা কোনো শিশু স্বজন হারানোর ব্যথা তেমন অনুভব করবে না বলে মনে করেন বিশ্ব মুসলিম উলামা সঙ্ঘের এই সেক্রেটারি জেনারেল।

উল্লেখ্য, ইউনিসেফ সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে তুরস্কে ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন শিশু ও সিরিয়ায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন শিশু স্বজনহারা হয়েছে।

সূত্র : আল জাজিরা মুবাশির


আরো সংবাদ



premium cement