২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর তুরস্ক কেঁপেছে আরো ১২০ বার

শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর তুরস্ক কেঁপেছে আরো ১২০ বার - ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কে সোমবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর অন্তত ১২০টি 'আফটারশক' ঘটেছে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি সেবা ব্যবস্থাপনা সংস্থা এফাদ এ তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রতিটি 'আফটারশক' একটি করে ভূমিকম্প। তবে সেগুলো মূল ভূমিকম্পের মতো শক্তিশালী না হওয়ায় 'আফটারশক' হিসেবে অভিহিত করা হয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইইএসজিএস) জানিয়েছে, আফটারশকগুলোর অন্তত ৪৩টি ছিল ৪.৩ মাত্রার চেয়ে বেশি।

আর তিনটি আফটারশক ছিল ৬.০ বা এর চেয়ে বেশি মাত্রার। একটি ছিল ৭.৫ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। এটির কেন্দ্রস্থল ছিল মূল ভূমিকম্পটি থেকে ৫৯ মাইল দূরে।

তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিনিয়ত নিহতের সংখ্যা বাড়ছে।

সূত্র : সিএনএন

এদিকে এএফপির খবরে বলা হয়, সোমবারের ভূমিকম্পটি ছিল গত এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৮ ভাগ। এটি স্থানীয় সময় সোমবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। এ সময়ে লোকজন ঘুমিয়ে ছিল। ধ্বংস্তÍুপের নীচের অনেক লোক চাপা পড়ে আছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। কতৃপক্ষ জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এ কথা জানিয়েছে।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে বহু সরকারি ভবন ধসে পড়েছে। ভেতরে অনেক লোক আটকা পড়ে আছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তায়িপ এরদোয়ান সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ভূমিকম্পে ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আশা করি আমরা একসাথে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব কম ক্ষতির মধ্য দিয়ে এ দুর্যোগ কাঠিয়ে উঠতে পারবো।

উল্লেখ্য, তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। দেশটিতে ১৯৯৯ সালে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে ১৭ হাজার লোক নিহত হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ

সকল