২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘মনে হচ্ছিল, এই কাঁপুনি কখনো থামবে না’

- ছবি - আল জাজিরা

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানতেপে মা-বাবার সাথে থাকতেন সাংবাদিক ইয়াদ কুর্দি। সোমবার ভোরে যখন ভূমিকম্প আঘাত হানে বাড়িতেই ছিলেন তারা। তার মনে হয়েছিল, এই ভূমিকম্প মনে হয় কখনো থামবে না! আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে তারা ছুটে বেরিয়ে ছিলেন শুধু পায়জামা পরে।

সিএনএনকে এই সাংবাদিক বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, এই কাঁপুনি কখনো থামবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আতঙ্কে শুধু পায়জামা পরে বের হয়েগিয়ে ছিলাম। আধা ঘণ্টা বৃষ্টির মধ্যে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। এরপর কম্পন থামলে ঘরে গিয়ে কোট আর জুতা পরে নেন।

গাজিয়ানতেপের আরেক বাসিন্দা রয়টার্সকে বলেন, ‘এমন ভয়ঙ্কর কিছু কখনো অনুভব করিনি।’

তিনি বলেন, ‘কোলে থাকা শিশুর মতো শহরের ভবনগুলো দুলে উঠছিল!’

পুরো নাম প্রকাশ না করে এরডেম বলেন, ‘আমার ৪০ বছরের জীবনে এমন কিছু দেখিনি!’

‘কমপক্ষে তিনবার খুব জোরে ঝাঁকুনি খেয়েছি আমরা। নিজেদের খাঁচা থাকা শিশুর মতো মনে হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা হয়েছে, তা দেখতে পারিনি। কারণ অনেক অন্ধকার ছিল!’

তিনি ফোনে বলতে থাকেন, ‘কেউ গাড়িতে বা কেউ নিজ বাড়ি থেকে দুরে খোলা কোনো জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমি কল্পনাও করতে পারি না যে গাজিয়ানতেপের কোনো বাসিন্দা এখন বাড়িতে আছেন।’

সূত্র : সিএনএন, আল-জাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement