২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আর্মেনিয়ার দখলদারিত্বে নিরবতার ফলই কারাবাখ যুদ্ধ : এরদোগান

রজব তাইয়েব এরদোগান - ছবি : সংগৃহীত

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, আর্মেনিয়ার আজারবাইজানের ভূমি দখল করে রাখা সত্ত্বেও বিশ্বের নিরবতার ফলেই কারাবাখ যুদ্ধ হয়েছে।

সোমবার কারাবাখ যুদ্ধ শেষ হওয়ার এক বছর পূর্তিতে রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্সে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এই কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে দেয়া এই ভাষণে এরদোগান বলেন, আজারবাইজানের নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়ার তিন দশকের দখলদারিত্ব থাকার পরেও যারা নিরব ছিলেন, তারাই সেখানে ঘটা বিপর্যয় ও রক্তপাতের জন্য দায়ী।

এর আগে টুইট বার্তায় কারাবাখ যুদ্ধে আজারবাইজানের বিজয়ের শুভেচ্ছা জানান তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

টুইট বার্তায় তিনি বলেন, 'আজারবাইজানের বিজয় দিবসে, কারাবাখের ভূমি মুক্ত করার সংগ্রামের এই গৌরবময় দিবসে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দেশের জন্য কোনো দ্বিধা ছাড়াই যারা সংগ্রাম করেছেন এবং শহীদ হয়েছেন, সেই বীরদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করছি। একইসাথে যুদ্ধজয়ী গাজীদের কৃত্জ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।'

১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে। ১৯৯৪ সালে আজারবাইজানের ভূমি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নাগরনো-কারাবাখ ও এর কাছাকাছি আরো সাতটি অঞ্চল আর্মেনিয়া দখল করে নিলে এই উত্তেজনা বাড়ে।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করলে দুই দেশ নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

যুদ্ধে তুরস্ক আজারবাইজানকে সামরিক ও কূটনীতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহায়তা দান করে।

৪৪ দিনের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করে আজারবাইজান নয়টি শহর ও অন্তত তিন শ’ জনবসতি ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা প্রায় তিন দশক আর্মেনীয় দখলের অধীনে ছিল।

যুদ্ধ বন্ধ করতে ও সংঘাতে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের উদ্দেশে দেশ দু’টি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১০ নভেম্বর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয় হিসেবে মনে করা হয়। চুক্তিটির ফলে আর্মেনিয়াকে নাগরনো-কারাবাখ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে নেয়।

যুদ্ধবিরতি তদারকে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে স্মারক চুক্তির আওতায় নাগরনো কারাবাখের আগদাম অঞ্চলে একটি যৌথ মনিটরিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। যৌথ এই মনিটরিং সেন্টার থেকে তুরস্ক ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী যৌথভাবে যুদ্ধবিরতি তদারকি করছে।

সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড


আরো সংবাদ



premium cement