২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইউরোপের নিরাপত্তা তুরস্কের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে : হাঙ্গেরি

হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজার্টো - ছবি : সংগৃহীত

হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজার্টো বলেন, তুরস্ক ও ইউরোপের মধ্যেকার সম্পর্কে এ ব্যাপারটির ওপর জোর দেয়া উচিৎ যে ইরোপের নিরাপত্তা তুরস্কের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

সোমবার ব্রাসেলসে ইরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক সভা চলার সময় এক বিরতিতে পিটার সিজার্টো বলেন, ইউরোপের নিরাপত্তাই হলো তুরস্কের নিরাপত্তা।

পিটার সিজার্টো আসলে বলতে চেয়েছেন, ‘ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছাবে যদি তুরস্ক তার সীমান্ত খুলে দেয় ৪০ লাখের বেশি অভিবাসীর জন্য। যে অভিবাসীরা এখন তুরস্কে অবস্থান করছেন।

তিনি আরো জোর দিয়ে বলেন যে জোটটির উচিৎ ২০১৬ সালের চুক্তির আওতায় অভিবাসীদের সাহায্যের জন্য বরাদ্দকৃত বাকি অংশ ছয় মিলিয়ন ইউরো (৭.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) তুরস্ককে প্রদান করা। এ অর্থ প্রদান করা হয়েছিল অনিয়মিত অভিবাসীদের ইউরোপমুখী স্রোত রুখতে এবং সিরিয়ান অভিবাসীদের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটাতে।

হাঙ্গেরির মন্ত্রী বলেন তিনি তুরস্কের সাথে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের সমর্থক। একই সাথে তুরস্কে ইউরোপীয় কাস্টম ইউনিয়নের সম্প্রসারণও চান তিনি।

ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এ সভায় ইইউর সাথে তুরস্কের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করছেন।

এ সভায় তুরস্কে সাথে সংশ্লিষ্ট অজ্ঞাত বিভিন্ন ব্যক্তিদের দ্বারা প্রস্তুত একটি প্রতিবেদন মূল্যায়ন করবেন ইউরোপের উচ্চপদস্থ কূটনীতিকরা। তারা ইউরোপের সাথে তুরস্কের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রূপরেখা প্রস্তুত করবেন।

প্রকাশিত খবর অনুসারে, এ প্রতিবেদনে তুরস্কের বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ ও অভিবাসী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখায় দেশটিকে স্বাগত জানানো হয়। এছাড়া দেশটির গঠনমূলক আচরণেরও প্রশংসা করা হয়। এ প্রতিবেদনে পরামর্শ দেয়া হয় তুরস্কের বর্তমান অর্জনকেও ছাড়িয়ে যাওয়ার। এছাড়া কাস্টম ইউনিয়নের সম্প্রসারণের মাধ্যমে তুর্কি-ইউরোপীয় বন্ধনকে আরো বিস্তৃত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। এ প্রতিবেদনে আরো সুপারিশ করা হয় ইউরোপীয় অর্থায়নে ‘ইউরোসাম’ ও ‘হরিজন ইউরোপের’ মতো যে প্রোগ্রামগুলো আছে তরুণদের জন্য, সেখানেও তুরস্ককে সম্পৃক্ত করা।

এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে, ইউরোপীয় মন্ত্রীরা অভিবাসনের ওপর ভাষণ দেবেন এবং ২০১৬ সালে সম্পাদিত ইইউ-তুরস্ক শরণার্থী চুক্তি নবায়ন করবেন। ইউরোপীয় নেতারা এসব সিদ্ধান্ত নেবেন বৃহস্পতি ও শুক্রবারের ভার্চুয়াল সভায়।

সূত্র : ইয়েনি সাফাক


আরো সংবাদ



premium cement