১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তুরস্ক-ইউরোপ বরফ গলার আভাস

২০১৯ সালে জাতিসঙ্ঘে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজবপ তাইয়্যিপ এরদোগান - ছবি সংগৃহীত

দুই দেশের আলোচনায় পাঁচ বছরের অচলাবস্থার পর সোমবার বৈঠকে বসছে গ্রিস ও তুরস্ক৷ এই বিষয়ে দুই দেশের কূটনৈতিক পর্যায় থেকেই ইতিবাচক মনোভাবের আভাস মিলছে৷ যেমন, গ্রিসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ডেনডিয়াস দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে, বৈঠক নিয়ে অ্যাথেন্সের দিক থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা নিশ্চিত করেছেন৷ তার আশা তুরস্কও একই মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবে৷ অন্যদিকে বিতর্কিত পানিসীমানায় গ্যাস অনুসন্ধান থামিয়ে আলোচনার পথটি প্রশস্ত করেছে তুরস্কও৷ এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে ইউরোপীয় নেতারা সামনের দিনে তুরস্ক সফরে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে৷

অবশ্য দুই পক্ষ থেকে যতই রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রকাশ পাক না কেন শরণার্থী, মানবাধিকার, জলসীমানা ও বিভিন্ন জায়গায় সামরিক হস্তক্ষেপসহ বিস্তর দ্বন্দ্ব নিরসনটা একেবারে সহজ হবে না৷ কূটনীতিকরাও মনে করছেন শুধু কথায় নয় সম্পর্কোন্নয়নে তুরস্ককে বিতর্কিত জলসীমা থেকে জরিপ জাহাজ সরিয়ে নেয়াসহ আরো কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে, যে কারণে আঙ্কারার উপর অবরোধ আরোপের ব্যাপারে ইউরোপের কয়কেটি দেশের উপর চাপও রয়েছে৷ এসব বিষয়ে আগামী মার্চে ইউরোপীয় নেতাদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷

তবে তুরস্ক-গ্রিসের বৈঠক নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল একটি ‘সম্ভাবনার দ্বার’ দেখতে পাচ্ছেন৷ যদিও এজন্য আঙ্কারাকে ‘বিরোধের পথ’ এড়িয়ে আলোচনার পথে হাঁটতে হবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন তিনি৷

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু গত সপ্তাহে বেলজিয়াম সফরে আসেন৷ তিনি একে আঙ্কারা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে ‘ইতিবাচক পরিবেশ’ বজায় রাখার মিশন হিসেবে অভিহিত করেছেন৷ আগামী দুই মাসের মধ্যে নিউ ইয়র্কে ভূমধ্যসাগরে জলসীমানা নিয়ে বিরোধ থাকা সাইপ্রাসের সঙ্গেও বৈঠক হবে বলে শুক্রবার জানান তিনি৷

তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের মনোভাব পরিবর্তনের পেছনে অর্থনৈতিক কারণও দেখছেন অনেকে৷ কোভিডের কারণে দেশটির অর্থনীতি মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে৷ তার উপর আন্তর্জাতিকভাবে নানা টানাপোড়েনও সেখানে প্রভাব ফেলছে৷ বাণিজ্যিক কারণেও তাই সবচেয়ে বড় অংশীদার ইউরোপের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক ভালো রাখা দরকার৷ অনেকে মনে করেন সেই প্রেক্ষাপটেই নভেম্বরে বিচার বিভাগ পুনর্গঠনেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এরদোগান৷ ২০১৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটিতে আইনের শাসন নিয়ে বরাবরই সমালোচনা করে আসছিল ইউরোপ৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২ বিল দখলের চেষ্টা, জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি ‘শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করলে বিজয় অনিবার্য’ কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে ঢুকে আত্মঘাতী হামলার হুমকিদাতা গ্রেফতার প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে যেয়ে গণধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ৫ ‘ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের সাথে সরকারের এমপি-মন্ত্রী-সুবিধাবাদী আমলারা জড়িত’ ইরানের সাথে ‘উঁচু দরের জুয়া খেলছে’ ইসরাইল!

সকল