২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

“আর্মেনিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া-ফ্রান্স”

- ছবি : সংগৃহীত

নাগার্নো-কারাবাখ যুদ্ধে ওএসসিই মিনস্ক গ্রুপের দেশগুলো- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ফ্রান্স "সব ধরণের অস্ত্র সহায়তা দিয়ে” তাদের আর্মেনিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।

আজ রোববার ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রদেশিক কংগ্রেস মিটিংয়ে দেয়া বক্তব্যে এরদোগান বলেন যে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া ও বর্তমানে কারাবাখে যা ঘটছে তা আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি। যুদ্ধের ফলে এসব অঞ্চলে বৈষম্য ও বিচ্ছিন্নতাবাদ ছড়িয়ে পড়ছে। সামান্য লাভের জন্য এসব অঞ্চলে বহু রক্তপাত ও অশ্রু ঝরেছে।

এরদোগান বলেন, আমাদের আজারবাইজানি ভাইয়েরা বর্তমানে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে খুবই কঠিন এক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কেন এই যুদ্ধ করতে হচ্ছে? আর্মেনিয় দখল থেকে নিজেদের ভূমি মুক্ত করার যুদ্ধ করছে। এরচেয়ে সাধারণ বিষয় আর কী হতে পারে?

এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, ৩০ বছর পেরিয়ে গেছে তবু আমেরিকা, রাশিয়া ও ফ্রান্স এই সমস্যার সমাধান করেনি। তারা আজারবাইজানিদের জমি তাদের কাছে হস্তান্তর করেনি।

তিনি বলেন, এ জন্যই দখলদারদের বিরুদ্ধে আজারবাইজানি ভাইদের নিজ ভূমি মুক্ত করার জন্য লড়তে হচ্ছে। আল্লাহ তাদের সাহায্য করুন। আমি বিশ্বাস করি তারা একদিন আর্মেনিয়দের থেকে দখলকৃত ভূমি মুক্ত করবে। আমরা তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। আশা করি তারা সাফল্য পাবে।

উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর থেকেই এই অঞ্চলে দুই দেশের বিরোধ চলে আসছিল। ১৯৯০ এর দশকে আর্মেনিয়ান নৃগোষ্ঠী আজারবাইজানের কাছ থেকে কারাবাখ দখল করে। এ নিয়ে সঙ্ঘাত ছড়িয়ে পড়ে সে সময়ই। শুরু হয় যুদ্ধ, যাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩০ হাজার মানুষ। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্য যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সরাসরি সঙ্ঘাতের ইতি ঘটলেও এ নিয়ে দুই দেশের বিবাদ অব্যাহত ছিল। নিজেদের অঞ্চল আবার দখলে বেশ কয়েকবারই সামরিক অভিযানের হুমকি দেয় আজারবাইজান।

ইউরোপীয় নিরপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা (ওএসসিই) মিনস্ক গ্রুপটি নাগার্নো-কারাবাখ বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ১৯৯২ সালে গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু কর্যকরী কোন ফল আসেনি।

সর্বশেষ সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখ থেকে দেশ দুটির মধ্যে আবারো সংঘর্ষ শুরু হয়। ১০ অক্টোবর দেয়া যুদ্ধবিরতির ঘোষণা কার্যকর হয়নি। আবারো গতকাল শনিবার থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দেয়া হলেও আর্মেনিয়া আবারো হামলা চালিয়েছে।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি


আরো সংবাদ



premium cement