১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পরমাণু অস্ত্র কেউ বানাবে, আর কেউ পারবে না, তা হবে না : এরদোগান

 রজব তাইয়্যিব এরদোগান
রজব তাইয়্যিব এরদোগান - ছবি : সংগৃহীত

পরমাণু অস্ত্র বানানোর অধিকার প্রসঙ্গে জাতিসঙ্ঘের বার্ষিক অধিবেশনে সোচ্চার হলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগান। মঙ্গলবার তিনি বলেন, হয় সব দেশকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির অনুমোদন দেয়া হোক, না হয় পুরোপুরি নিষিদ্ধ হোক পরমাণু অস্ত্র। যাতে কোনো দেশের হাতেই এই মারণাস্ত্র না থাকে, সেই ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতে হবে। বিষয়টিকে দ্বিচারিতা বলে উল্লেখ করেন তিনি। এও বলেন, কয়েকটি দেশের হাতে পরমাণু অস্ত্রসম্ভার রয়েছে। অথচ তারাই আবার বিশ্বকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এ কেমন নীতি। এখানে সাম্য কোথায়? বৈষম্যই তো প্রকট দেখা যাচ্ছে। এর ফলে বৈশ্বিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। ভারসাম্য ফেরাতে হলে হয় পরমাণু অস্ত্র পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হোক। না হলে সব দেশকেই আত্মরক্ষার্থে এই অস্ত্র তৈরির অধিকার বা অনুমতি দেওয়া হোক।

ইসরাইলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র এই দেশটির হাতে রয়েছে পরমাণু অস্ত্র। অথচ আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি মেনে চললেও ইরানে শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হচ্ছে। ইসরাইল কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো পরমাণু চুক্তি বা সমঝোতায় সই করেনি। ইরান-তুরস্ক সবকটাতেই সই করেছে। তারপরও ইরানকে পরমাণু শক্তিধর হতে দেয়া হচ্ছে না। তাহলে ইসরাইলের পরমাণু কর্মসূচিকে নিষিদ্ধ করা হোক।

এরদোগান এও বলেন, এ ব্যাপারে ইসরাইলকে ছাড় দেয়া হলেও প্রতিবেশী দেশ তুরস্কের বেলায় সবাই রে রে করে উঠছে। শুধুমাত্র পরমাণু অস্ত্রের অহংকারেই সব দেশকে চোখ রাঙাচ্ছে ইসরাইল। এক্ষেত্রে এরদোগানের প্রস্তাব– যারা আপত্তি করছে, তারা মধ্যপ্রাচ্য এবং উপসাগরীয় দেশগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিক। যাতে ইসরাইল এসব দেশের ওপর পরমাণু হামলা না করে। আমেরিকা-ইউরোপের কাছে এ ব্যাপারে কৈফিয়ত চেয়ে গ্যারান্টার হতে বলেন এরদোগান।

 


আরো সংবাদ



premium cement