২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিয়েপাগলা সখিমুদ্দিন

-

বিয়েপাগল পাত্র সখিমুদ্দিন বিয়ে করতে চায়, কিন্তু বিয়ে করতে চাইলে হবে কী, মেয়ে তো পেতে হবে। এ দিকে বিয়ের জন্য দিনকে দিন মরিয়া হয়ে যাচ্ছে সখিমুদ্দিন। সে এবার ঘটককে ফোন লাগায়, ঘটক ভাই, আপনার তো অনেক সুনাম। আমার জন্য একটা টুকটুকে মাইয়া দ্যাখেন। আমি খুব তাড়াতাড়ি বিয়ার কামডা সারতে চাই।
ঘটক ভাই সখিমুদ্দিনকে আশ্বস্ত করে, তুমি কোনো চিন্তা করো না। আমি সব ব্যবস্থা করছি। দিন তিনেক পর আমারে ফোন দিবা।

তিন দিন পূরণের একদিন আগে সখিমুদ্দিন ফোন লাগায়, হ্যালো ঘটক ভাই, কিছু হলো?
Ñ হইছে মানে, এক্কেবারে রেডি। মাইয়ার বাপ লাখ ট্যাকা ডিমান্ড দেবো। আর মাইয়ার গায়ের গয়না। এইবার খুশি তো?
Ñহ ভাই, খুবই খুশি। তয় আমার একটা সমিস্যা আছে।
Ñমানে! কী সমিস্যা?
Ñমানে আমার একটা পা নেই।
এবার ক্ষেপে যায় ঘটক। বলেÑ মিয়া আগে কইবা না তোমার সমিস্যা আছে?
Ñরাগ করিয়েন না প্লিজ ভাই। একটু চেষ্টা তদবির করেন না! অনুনয় ঝরে সখিমুদ্দিনের কণ্ঠে।
Ñআচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে। তুমি কয়েকদিন পর ফোন দিয়ো।
তিনদিন পর আবার ফোন দেয় সখিমুদ্দিন। বলেÑ ঘটক ভাই, মিয়া টিয়া পাইলেন?
Ñহ রে পাইছি। কিন্তু ট্যাকা পয়সা ডিমান্ড টিমান্ড চাইতে পারবা না। ঠিক আছে?
Ñহ ভাই, কিছু চামু না। কিন্তু আমার যে আরেকটা সমিস্যা আছে।
Ñআবার কী সমিস্যা?
Ñনা মানে কইতাছিলাম কী, আমার তো বাম পাও নাই।
Ñমিয়া ফাজলামি করো। পাইছোডা কী। আগে কইলা এক পা নাই। আবার এখন কইতিছো বাম পাও নাই। তোমার পাও নাই সেই কথা আগে কইলা না ক্যান ?
Ñআমি খুবই দুঃখিত ভাই। খুবই দুঃখিত। বিয়াটা আমার খুব দরকার ভাই।
Ñআচ্ছা দেখবনি। সাত দিন পর ফোন দিয়ো। দেখি কী করা যায়।

সখিমুদ্দিনের দিন যায় না, রাত যায় না। একা একা কাটে না বিরহের দগ্ধ প্রহর। কদিন যেতে না যেতে আবার ফোন লাগায়Ñ ঘটক ভাই, কি খবর?
Ñখবর ভালোই বলতে পারো। অনেক হাতে পায়ে ধইরা রাজি করাইছি মিয়ার বাপ মাওরে। তুমি কিন্তু সোনাদানা ট্যাকা কড়ি কিছুই পাইবা না। মিয়া দিতাছে সেইডাই অনেক।
Ñতা তো বুঝলাম। আমার সমিস্যা তো ভাই আরো একটা আছে।
একরাশ বিরক্তি নিয়ে ঘটক পাখি ভাই বলেÑ আবার কী সমিস্যা?
Ñসমিস্যা হলো ভাই, আমার দুইডা হাতও নাই।
এবার সত্যি সত্যি তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে ঘটক। বিয়ে পাগলা সখিমুদ্দিনের বিয়েটা আর হয় না। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement