২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গ্রাহকের প্রয়োজন অনুধাবন করে হ্যান্ডসেট তৈরি করে পোকো

গ্রাহকের প্রয়োজন অনুধাবন করে হ্যান্ডসেট তৈরি করে পোকো -

দেশীয় স্মার্টফোন বাজারে স্মার্টফোনের চাহিদা ক্রমেই বেড়েই চলেছে। এমনই চাহিদার বাজারে সব ধরনের গ্রাহকদের মাথায় রেখে তিনটি নতুন স্মার্টফোন উন্মোচন করল বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড পোকো। ২০১৮ সালের পর এ বছর আবার আসা পোকো ফোন আর সাম্প্রতিক প্রযুক্তি প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা বলেছেন শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী
বাংলাদেশের বাজারে পোকোর লক্ষ্য ও গ্রাহকদের জন্য বিশেষ কী অফার দিচ্ছে পোকো?
জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : আমাদের একটা বড় লক্ষ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষে মানুষে এক মেলবন্ধন সৃষ্টি করা এবং আমরা তা এখন পর্যন্ত সাফল্যের সাথে করছিও। এ সাফল্যের অন্যতম কারণ আমরা প্রতিটি নতুন পণ্য বাজারে আনার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের পছন্দ, ইচ্ছা ও আকাক্সক্ষাকে অনেকাংশে প্রাধান্য দিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি আমরা ভিন্ন ভিন্ন সেগমেন্টের তিনটি হ্যান্ডসেট এনেছি। পোকো এক্স৩ এনএফসি স্মার্টফোন মিড প্রিমিয়াম সেগমেন্টের ডিভাইস। পোকো এম২ শক্তিশালী মিডরেঞ্জের এবং বাজেটফোন হিসেবে আনা হয়েছে পোকো সি৩ স্মার্টফোন। আগামীতেও আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের ফ্যানদের কথা মাথায় রেখে সাশ্রয়ী মূল্যে আরো ফোন বাজারে আনা।
বাংলাদেশের বাজারে পোকো কোথায় অন্যদের থেকে আলাদা?
জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : আমরা আদর্শগতভাবেই অন্যদের থেকে আলাদা। কারণ আমরা দারুণ ডিজাইন ও অসাধারণ পারফরম্যান্সে বিশ্বাস করি। সেই সাথে আমরা বাজারের সব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে, গ্রাহকের চাহিদা বুঝে পণ্য আনার চেষ্টা করি। পোকো এমন এক ব্র্যান্ড যা গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সব কথা মাথায় রেখেই পণ্য তৈরি করে। অবশ্যই বাজারে প্রতিযোগিতা রয়েছে, তবে এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের সময় ও ট্রেন্ডের পরিবর্তনের সাথে সাথে আরো দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বাজারে পোকোর অবস্থান কেমন?
জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : পোকো একটি কনজ্যুমার টেকনোলোজি ব্র্যান্ড, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রোডাক্ট লঞ্চ করেছে। ব্র্যান্ড হিসেবে পোকো তার সব প্রোডাক্ট একটি মূলমন্ত্রকে ভিত্তি করে বাজারে এনেছে আর সেটি হলো ‘আপনার ঠিক যা যা প্রয়োজন’। বিশ্বব্যাপী পোকো তার নিজস্ব গ্রাহক ও ফ্যানবেজ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
আগামী দিনে আর কী কী পণ্য সামনে আনার পরিকল্পনা রয়েছে পোকোর?
জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : পোকোতে আমরা সবসময় চেষ্টা করি সব কিছুই একটু নতুন আঙ্গিকে আনার। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, আমরা আমাদের গ্রাহকদের ডিভাইসগুলোর ব্যবহার-অভিজ্ঞতা এবং আমাদের ফ্যান ও কমিউনিটি থেকে প্রচুর ফিডব্যাক নিই। এই ফিডব্যাকের ভিত্তিতে আমরা আমাদের গবেষণা ও পণ্যের মানোন্নয়নের কাজ করি। গ্রাহকদের ফিডব্যাক থেকেই আমরা পোকোর পোর্টফোলিও ভবিষ্যতে বাড়ানোর চেষ্টা করব। আমরা যখন কোনো পোর্টফোলিও নিয়ে কাজ করব তখন অবশ্যই আপনাদের জানাব।
বাজারে বিদ্যমান অন্য ব্র্যান্ড থেকে পোকো কেন ব্যতিক্রম?
জিয়াউদ্দিন চৌধুরী : পোকোর মন্ত্র ‘আপনার যা যা প্রয়োজন, তা ব্যতীত আর কিছুই নয়’। আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সবার অভিমতকেই প্রাধান্য দেই। কারণ আমরা এমন সব প্রযুক্তিই আনতে চাই, যা ফ্যান ও কমিউনিটির কাছে প্রকৃত অর্থেই তাৎপর্যপূর্ণ হয়। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের যে মন্ত্র, সেটি গ্রাহকদের কাছে সুন্দর পণ্য পৌঁছে দিতে উৎসাহিত করে, তাই আমরা গ্রাহকদের প্রত্যাশা বুঝেই গবেষণা ও উৎপাদনে নতুনত্ব আনছি প্রতিনিয়তই।


আরো সংবাদ



premium cement