২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অনলাইনে কেনাকাটায় আগ্রহ বাড়ছে

-

বিভিন্ন জায়গা ঘুরে, যাচাই করে কেনাকাটার যে চল ছিল এখনো সেটা রয়েছে। সাথে যোগ হয়েছে ইন্টারনেটভিত্তিক এই শপিং। জামা, কাপড়, জুতা থেকে শুরু করে টুপি, আতর, জায়নামাজ সবই কেনাবেচা হচ্ছে অনলাইনে। দেশে ই-কমার্স ও এফ কমার্সের প্রসার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কর্মব্যস্ততার কারণে রাস্তার যানজট ঠেলে, দোকানে গিয়ে কেনাটাকে তাই অনেকেই এখন সময়ের অপচয় বলে মনে করছেন। অনলাইনের কেনাকাটা নিয়ে লিখেছেন
সুমনা শারমিন

ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমি কায়সার জানিয়েছেন, ই-কমার্স খাত মহামারীর সময়ে নিজেদের সক্ষমতা দেখিয়েছে যে, অনলাইনে কেনাকাটা করা সম্ভব। প্রচুর নতুন নতুন সেলার (বিক্রেতা) তৈরি হয়েছে যারা হয়তো এর আগে অফলাইন মাধ্যমেই ব্যবসা করতেন। কিন্তু এবার তারা ই-কমার্সের সুবিধাগুলো বুঝেছেন।
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম প্রিয়শপডটকমের প্রধান নির্বাহী আশিকুল আলম খান জানিয়েছেন, ই-কমার্স একটি ইকো-সিস্টেম। এ সিস্টেমই লকডাউনের সময়ে ই-কমার্সকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সাহায্য করেছে। সাপ্লায়ারদের প্রতিদিন কার্যক্রম বেশি সময় ধরে চালু রাখা, ডেলিভারি ম্যান-রাইডারদের চাহিদা, দেশের আনাচে-কানাচে পণ্য পৌঁছানোর সক্ষমতার মতো বিষয়গুলোর প্রয়োজনীয়তা আমরা এ সময়ে বুঝতে পেরেছি। সরকার ইতোমধ্যে একে জরুরি খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। এখন আমাদের পুরো ইকো-সিস্টেমকে আরো উন্নত করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই প্রকৃতপক্ষে দেশের ই-কমার্সের বিকাশ হবে।
দেশের জনপ্রিয় ই-কমার্সভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালিডটকমডটবিডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল জানিয়েছেন, সময়ের সাথে সাথে সমাধান হচ্ছে বিভিন্ন সমস্যার। এমনিতেও আমাদের দেশে ই-কমার্স নতুন না হলেও একেবারে পুরনোও নয়। আর কোভিড-১৯ করোনা তো সবার জন্যই নতুন ও ভিন্নরকম একটা পরিস্থিতি। আমরা ব্যবসায়ীরা বা উদ্যোক্তারা বিভিন্ন রকমের সম্ভাব্য ঝুঁঁকি নিয়ে বিশ্লেষণ করে ব্যবসা পরিচালনা করি। কিন্তু এমন পরিস্থিতির জন্য কারোরই সেই পূর্বাভাস জানা ছিল না আর তাই প্রস্তুতিও ছিল না। কাজেই বিভিন্ন চাহিদা থেকেই তো এসব সমস্যার উৎপত্তি। সেসব চাহিদার কারণেই আবার এগুলোর সমাধান হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে সরকার শুরু থেকেই ই-কমার্সের গুরুত্ব অনুধাবন করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তই দিচ্ছে।
গোয়ালার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সহপ্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম জানিয়েছেন, গোয়ালা দুগ্ধজাত পণ্যের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হলেও কোভিড-১৯ এর পেক্ষাপটে গ্রোসারি ও ফর্মালিনমুক্ত ফল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। অনেকেই পরিবারের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অনলাইনে পণ্য অর্ডার করছেন। এসব গ্রাহকদের নির্ভরযোগ্য সেবা দিতে গোয়ালা টিম নিরলস কাজ করছে। করোনা মহামারীতে ব্যবসায়-বাণিজ্য যেখানে স্থবির সেখানে বেচাকেনা বেড়েছে ডিজিটাল এবং অনলাইনভিত্তিক বাণিজ্য সেবা তথা ই-কমার্স খাতে। এখন প্রয়োজন শুধু গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন। তাহলেই আরো এগিয়ে যাবে দেশের ই-কমার্স কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্য। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার অন্যতম দায়ী : মির্জা আব্বাস সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে না থাকার কারণ জানালেন সাকিব ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রম পরিদর্শনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল চুয়াডাঙ্গায় বাতাসে আগুনের হল্কা : গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বৃষ্টির নামাজ আদায়ের নিয়ম আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি

সকল