১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আইফোন উন্মোচন নিয়ে অনিশ্চয়তা

আইফোন উন্মোচন নিয়ে অনিশ্চয়তা -

অ্যাপল প্রতি বছর সেপ্টেম্বরে নতুন আইফোন ও সেবা উন্মোচন করে আসছে। চলতি বছরও ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করা হচ্ছিল। আগামী সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠানটি আইফোন১২ ও ফাইভজি সমর্থিত আইপ্যাড উন্মোচন করার পরিকল্পনা করলেও শেষ পর্যন্ত অনিশ্চয়তা রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট উৎপাদন বিভ্রাটের ফলে ফাইভজি আইফোনসহ অন্যান্য ডিভাইস ও সেবা উন্মোচন পেছানো হতে পারে। লিখেছেন সুমনা শারমিন
চলতি বছর অ্যাপল ইনকরপোরেশনের বহুপ্রত্যাশিত পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ফাইভজি সমর্থিত আইফোন বাজারে আসার পূর্বাভাস ছিল। তবে অ্যাপল ডিভাইসের উৎপাদন কেন্দ্র চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ আক্রান্তের ভয়াবহতা ফাইভজি আইফোন উন্মোচন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ফাইভজি আইফোন উন্মোচন পিছিয়ে যেতে পারে।
করোনাভাইরাস এখন চীনের বাইরে শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অ্যাপলের প্রধান চুক্তিভিত্তিক ডিভাইস উৎপাদনকারী ফক্সকন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল। দেশটিতে অ্যাপলের সব খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ফক্সকনের উৎপাদন কারখানায় উৎপাদন সক্ষমতার ৫০ শতাংশ কার্যক্রম চালু হয়েছে। তবে তা চাহিদা অনুযায়ী ডিভাইস সরবরাহের জন্য যথেষ্ট নয়।
তাইওয়ানভিত্তিক অ্যাডভান্সড সেমিকন্ডাক্টর ইঞ্জিনিয়ারিং (এএসই) নামের একটি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফাইভজি আইফোন ও আইপ্যাডের সরঞ্জাম সরবরাহের নির্দেশ পাওয়ার তথ্যও নিশ্চিত করা হয়েছিল। এসব কারণে ফাইভজি আইফোন উন্মোচন কয়েক মাস পেছাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চীনে অ্যাপলের সব করপোরেট অফিস, কল সেন্টার এবং খুচরা বিক্রয় কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এ ছাড়া করোনাভাইরাস থেকে কর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে কর্মীদের চীন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ফলে চলতি বছরের প্রথমার্ধে আইফোন উৎপাদনের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছিল, তা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছিল অ্যাপল।
অ্যাপল স্মার্টফোন উৎপাদন ও সরবরাহে চীনের চুক্তিভিত্তিক নির্মাতাদের ওপর নির্ভরশীল। অনেক উৎপাদন কারখানা দেশটির হুবেই প্রদেশে অবস্থিত। যেগুলোর কার্যক্রম করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ করা হয়েছিল। তবে ক্রমে দেশটিতে উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে চীনে নিজেদের প্রায় ৯০ শতাংশ বিক্রয়কেন্দ্র চালু রাখার ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল।
বিশ্লেষকদের ভাষ্যে, চলতি বছর চীনে আইফোন সরবরাহ ১৫ শতাংশ কমে ৩১ কোটি ইউনিটে দাঁড়াবে। এ সরবরাহ কমতির প্রধান কারণ হিসেবে দেশটিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গ্রাহকদের আস্থা সঙ্কটকে দায়ী করা হচ্ছে। অবশ্য ফক্সকন শুরুতে জানিয়েছিল তারা চীনে তাদের উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। তবে পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠলে আইফোন উৎপাদন কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয় প্রতিষ্ঠানটি। চীনে করোনাভাইরাসের কারণে অ্যাপল ছাড়াও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement