১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পঞ্চম শ্রেণীর প্রস্তুতি : বিজ্ঞান - পর্বসংখ্যা-৪৪

অধ্যায় তিন : জীবনের জন্য পানি
-


সুপ্রিয় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বিজ্ঞান বিষয়ের ‘অধ্যায় তিন : জীবনের জন্য পানি’ থেকে আরো ১টি বর্ণনামূলক প্রশ্ন এবং ২টি অধ্যায়ভিত্তিক কাজের সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হলো।
প্রশ্ন : পুকুরের পানি থেকে আমরা কিভাবে নিরাপদ পানি পেতে পারি?
উত্তর : সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের নিরাপদ পানি পান ও ব্যবহার করতে হবে। তাই পানিকে পান বা ব্যবহার করার আগে শোধন করে নিতে হয়। নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে পুকুরের পানি থেকে আমরা নিরাপদ পানি পেতে পারি-
(১) ছাঁকন : ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াই হলো ছাঁকন। পাতলা কাপড় বা ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পানি পরিষ্কার করা যায়। তবে এই প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত পানি পরিষ্কার হলেও তা জীবাণুমুক্ত নয়। তাই নিরাপদ পানির জন্য এই পানি ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
(২) থিতানো : একটি কলসি বা পাত্রে নদী বা পুকুরের পানি নিয়ে রেখে দেই। কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে পাত্রের তলায় তলানি জমেছে। উপরের অংশের পানি পরিষ্কার হয়েছে। পানিতে থাকা ময়লা যেমন- বালু, কাদা ইত্যাদি সরানোর এই প্রক্রিয়াই হলো থিতানো।
(৩) ফুটানো : পানি জীবাণুমুক্ত করার একটি ভালো উপায় হলো ফুটানো। জীবাণুমুক্ত নিরাপদ পানির জন্য ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে পানি ফুটাতে হবে।
(৪) রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধকরণ : অনেক সময় বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের কারণে পানি ফুটানো সম্ভব হয় না। তখন ফিটকিরি, ব্লিচিং পাউডার, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি পরিমাণ মতো মিশিয়ে পানি জীবাণুমুক্ত করা হয়। বড় বড় শহরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় নদীর পানি শোধন করে ঘরে ঘরে সরবরাহ করা হয়। তবে মনে রাখতে হবে আর্সেনিকযুক্ত পানি এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিরাপদ করা যায় না। এভাবে উপর্যুক্ত চারটি পদ্ধতির মাধ্যমে পুকুরের পানি থেকে আমরা নিরাপদ পানি পেতে পারি। তবে পুকুরের পানি শোধনের সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে পানি ফুটানো।
অধ্যায়ভিত্তিক কাজের সমাধান
প্রশ্ন : পানি কোথা থেকে আসে এবং কোথায় যায়?
উত্তর : পানি মেঘ হতে বৃষ্টির মাধ্যমে মাটিতে শোষিত হয় অথবা নদীতে গড়িয়ে পড়ে। মাটিতে শোষিত পানি ভূগর্ভস্থ পানি হিসেবে জমা হয়। এসব নদী, সাগরের পানি সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়ে উপরে উঠে যায়। এই বাষ্পীভূত পানি আবার ঘনীভূত হয়ে মেঘের রূপ ধারণ করে।
প্রশ্ন: আমরা কিভাবে নিরাপদ পানি পেতে পারি?
উত্তর: মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন পানিই হলো নিরাপদ পানি। আমরা আমাদের পানিকে নানাভাবে দূষিত করছি। ফলে নিরাপদ পানির জন্য এসব পানিকে ফুটিয়ে, থিতিয়ে, ছাঁকন ও অন্যান্য রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধ করে নিরাপদ পানিতে রূপান্তর করা যায়। এ ছাড়া নলকূপের পানিও নিরাপদে পান করা যায়, তবে লক্ষ রাখতে হবে যে নলকূপের পানি যাতে আর্সেনিকযুক্ত না হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement